দুহাতে খরচ করছে। মাঝে মাঝে উপরওয়ালা অফিসার এদের সাবধান করেও দিচ্ছিল;
এখানে নূতন ধরনের গরুর গাড়ি দেখলাম। এক একটি গাড়িতে ছজন করে লোক বসতে পারে। প্রত্যেকটি গাড়ি দুটা বলদ টানে। এমন পুষ্ট পরিষ্কার বলদ আমাদের দেশে দেখেছি বলে মনে হয় না। গাড়িতে জোতা বলদগুলিকে যারা হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা একটা চাবুক দিয়ে বলদগুলিকে মারবার ভান করছিল মাত্র। লম্বা পাতলা চিক্কিণ বাঁশের লাঠির উপরে বাঁধা সূতা আকাশে ঘুরিয়ে যখন ঠাস্ করে শব্দ করে তখনই বলদ হুঁশিয়ার হয়ে চলতে আরম্ভ করে। বলদ একটু পরিশ্রান্ত হলেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়, তাতে যাত্রার সুবিধা হোক আর অসুবিধা হোক আসে যায় না। বুঝলাম যারা বৃষ মাংস ভক্ষণ করে তারা বৃষের সুখ সুবিধার দিকেও চায়, আর যারা বৃষ মাংস খায় না, তারাই বৃষের ল্যাজে সবচেয়ে বেশী মোচড় দেয়।
মেডিরাতে বোধহয় অনেক কিছু দেখার ছিল, কিন্তু আমার আর ভাল লাগল না তাই জাহাজে ফিরে এলাম। জাহাজে এক রকমের মেলা বসেছে। নানারূপ পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের ভিড় জমে উঠেছে। দরকষাকষি এমন চলেছে যে যার দাম এক পাউণ্ড বলছে তার দাম এক শিলিং-এ নেমে আসছে। আমাদের দেশেও তা হয়। এই ধরনের দরাদারির জন্য বিদেশীরা আমাদের নিন্দা করে এবং বই লিখে কুৎসা রটায়, কিন্তু এখানে তার উল্টা। এখানে এটাকে আমোদের মধ্যে গণ্য করা হয়। আমাদের দেশে বারবণিতার সংখ্যা নিয়ে দেশবিদেশের লোক নানারূপ গল্প করে। আজ তাদের বারবণিতা তাদেরই ক্রোড়ে এই জাহাজের ডেকের উপর নীল আকাশের নীচে তাদেরই স্বরূপকে উদ্ঘাটিত করছে। এসব বিভৎস কদর্য দৃশ্য দেখতে আমার মোটেই ভাল লাগল না। এদিকে