‘কালার বারের’ গন্ধ কিছুটা দূর হয়েছে। এখানে তবুও কতকটা স্বাধীনতা আছে। যারা বলেন ইংলণ্ডে কালার বার নাই তারাও কিন্তু সত্য কথা বলেন না। এখানেও কালার বার আছে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মত নয়। আমেরিকার দিকে আর এক ধাপ এগিয়ে আসছি দেখে মনে বড়ই আনন্দ হয়েছিল।
লণ্ডন
লণ্ডন নগরের নাম কে না জানে? সকলেই লণ্ডন দেখতে চায়, কিন্তু পেরে উঠে না। তাই অনেকেই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনের পিপাসা মিটায়। যারা লণ্ডনে যায়, তারা সব সময় নগরের সত্য বর্ণনা দিতে পারে না। সেখানে ভালও আছে মন্দও আছে। মন্দের দিকটা সাধারণত চাপা থাকে কারণ অধীন জাতির পক্ষে বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানীর কুৎসা করা অকর্তব্য। যেখানে কথা বলবার ক্ষমতা রয়েছে, লেখবার ক্ষমতা রয়েছে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বর্তমান, সেখানে গিয়ে ভারতবাসী সামান্য দুঃখকষ্টের কথা ভুলে যায়।
দেখবার এবং জানবার প্রবল বাসনা আমার মনকে নাচিয়ে তুলেছিল। লাফালাফি করতে হলে পেট ভরে খেতে হয়, শুতে হয় উত্তম শয্যায়, তবেই চিন্তাধারা ঠিক পথে চলে। এবার আমার খাবারের চিন্তা মোটেই ছিল না, কারণ লণ্ডনের রেস্তোরাঁতে প্রবেশ করতে আমাকে কেউ মানা করছিল না। কিন্তু কোথায় থাকব এই হয়েছিল ভাবনা।
ওয়াটারলু ষ্টেশনে পৌঁছেছিলাম বোধ হয় বারটার সময়। তার পর হতেই ঘরের খোঁজে বাহির হই। যার হাতে টাকা আছে তার ঘর খোঁজার