বলতেও ভয় পায়। ভয় এই যে, হয়তো গ্রাহক কমে যাবে নয়তো ছোরার আঘাতে সম্পাদকের প্রাণহানি হবে। কিন্তু হাইড পার্কে সে ভয় নাই। যারা স্বাধীনচেতা তারা ছোরা মারে না, তারা নীরবে সবই সহ্য করে যায়।
হাইড পার্কের বিজলি বাতিগুলি যেন সভ্যজগতের কলংকের অন্ধকার সরিয়ে দিয়ে অন্তত একটুখানি জায়গাকে স্বর্গীয় ছটায় আলোকিত করে রেখেছে, যেখানে মানুষ একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারে। হাউড় পার্কের স্নিগ্ধ মৃদুমন্দ বাতাস নরনারীর মনকে উদার ও নির্ভীক করে। হাইড পার্ক আনন্দময়। যুবক যুবতী জোড়া বেঁধে একে অন্যের কাছে আপন আপন সুখ-দুঃখের কথা প্রকাশ করে। একে অন্যের সুবিধার দিকে দৃষ্টি রেখে এবং যতদূর সম্ভব নিজের কাজের জন্য অপরের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখে। যেখানে সহিষ্ণুতা বিদ্যমান সেখানেই স্বাধীনতার অংকুর গজায়, সেখানে সুখ এবং শান্তি আপনা হতে এসে দেখা দেয়।
সেই শান্তিময় স্থানে গিয়ে আমি এবং আমার বেকার সাথী একটি গাছের তলে বিশ্রামার্থ শুয়ে পড়লাম। চিন্তা আমাদের আচ্ছন্ন করল। আমার কাছে অর্থ আছে তবুও ঘর পাচ্ছিলাম না, সাথীর শরীরে প্রচুর শক্তি, মুখে যৌবনশ্রী ছিল তবুও তার চাকরি জুটছিল না। এটা কি চিন্তার বিষয় নয়? আমি হাইড পার্ককে কেন স্বর্গ বলতে চেয়েছি তাও জানা উচিত। সেই কারণটি হল হাইড পার্কে বসে বা দাঁড়িয়ে, কলে কৌশলে নয়, সরল এবং স্পষ্ট ভাষায় আপন মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। এটা কি কম কথা?
ভারতের বেকারে এবং ইউরোপের বেকারে আকাশ পাতাল প্রভেদ। ভারতের বেকার আপনার কপাল ঠুকে আর বলে, “ভাগ্য মন্দ, তাই খেতে পাচ্ছি না, কাজ পাচ্ছি না।” সেই ভাবকে পোষণ করার জন্য
৩