পরিবর্তনের ক্ষমতা নাই। অন্য একটি থাকলে তবে তো বদলাবে? দ্বিতীয় মোজা জোড়া কিনার ছ’পেনি পাবে কোথায়? তাদের সংগে বসেই এক পেয়ালা চা খেলাম। চায়ে চিনি অতি অল্পই ছিল। চিনি কেন এত কম দেওয়া হয় জিজ্ঞাসা করলাম। ওয়েটার বলল, “এই ভদ্রলোকেরা গরম জলের বেশী পক্ষপাতী, তাই গরম জল বেশী করে দেওয়া হয়।” মাখনের পরিবর্তে মার্গ্যারিন্ ব্যবহার হয়। মার্গ্যারিন্ চর্বি হতে প্রস্তুত। খেলেই পিত্ত হয়। কিন্তু এই সর্বহারাদের পিত্তের ভয় করতে হয় না, পেটের ক্ষুধায় পিত্ত পর্যন্ত হজম হয়ে যায়। বাড়িটার দুতলা এবং তিনতলা বেড়িয়ে দেখে এলাম। সারি সারি বিছানা সাজান রয়েছে। প্রত্যেক বিছানার নীচে একটি করে পাত্র রয়েছে। সর্বহারাদের ঘুমাবার পোষাক নাই, তাই তারা খালি গায়ে রেস্ট রুমে যেতে পারে না, রাত্রে ঐ পাত্রে মূত্রত্যাগ করে।
ঘরের খোঁজে অনেক সময় কাটালাম। অনেক দরজার সামনে ‘টু লেট’ লেখা রয়েছে। নেটিভ সাথী যখন জিজ্ঞাসা করে ঘর খালি আছে কিনা, তখন ঘরের মালিক বলে, “নিশ্চয়ই খালি আছে।” ঘরের ভাড়া ঠিক হয়, অনেক রকম সুবিধার লোভ দেখান হয় কিন্তু যেই নেটিভ সাথী বলে, ঘর ভাড়া করা হচ্ছে আমার জন্য, তখনই সকল চুক্তির অবসান হয়। এইভাবে অর্ধেক দিন কাটিয়েও যখন ঘর পাওয়া গেল না, তখন আমরা চললাম যথাস্থানে―যেখানে কালো লোকেরা থাকে। মর্নিংটন্ ক্রিসেণ্ট নামক স্থানে যাবার পর ঘরের সুব্যবস্থা হল, রান্নার বন্দোবস্ত হল, জিনিসপত্র আনা হল। দস্তুর মত ছোট একটা সংসার পেতে এবার লণ্ডন দেখার জন্য প্রস্তুত হলাম।
রিজেণ্ট পার্ক হতে আরম্ভ করে ছোট বড় অনেক পার্ক দেখলাম। প্রায় সকল পার্কেই বোমা পড়া এবং গ্যাস হতে রক্ষা পাবার জন্য ছোট