পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



88
আজকের আমেরিকা

জার্মান ইহুদী দ্বারা পরিচালিত একটা নূতন টুরিস্ট কোম্পানীতে টিকিট কিনতে গেলাম। তারা ত আমাকে পেয়েই খুশী। তারা হয়ত জানত না যে ভারতবাসীর পক্ষে আমেরিকার টিকিট কিনা তত সহজ নয় নতুবা এমন অনুগ্রহ এবং আগ্রহ দেখাত না। আমি চুপ করে বসে ওদের চালচলন দেখতে লাগলাম। এদিকে জাহাজ কোম্পানীতে টিকিট কেনার জন্য লোক পাঠান হল। জাহাজের নাম জর্জিক, আটাশ হাজার টন, অল্প ‘রলিং’এ নড়বেও না। কিন্তু টিকিট নিয়ে আসছে না কেন? বেলা তিনটা পর্যন্ত বসে বললাম, “মহাশয়রা টিকিট খানা আসলে রেখে দিবেন, আমি কাল এসে নিয়ে যাব।” এই বলেই চলে আসলাম।

 নূতন সাথীটি আমাকে বলতে লাগল, টিকিট বিক্রি না করার কারণ তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না, যুদ্ধ তো বাধে নি?” ভারতবাসীকে সাম্রাজ্যবাদীরা কত যে হীন করে রেখেছে, তা সামনে দাঁড়িয়েও ঐ গ্রীক যুবক বুঝতে পারছিল না। ভারতবাসীর দরজা চারিদিক থেকে বন্ধ। যারা লণ্ডনে যায়, তারা একথা হাড়ে হাড়ে বোঝে, কিন্তু সেকথা স্বদেশে এসে বলে না। চড় খেয়ে চড় হজম করে। পরদিন অফিসে গিয়ে দেখলাম তখনও টিকেট আসেনি। অফিসের চাপরাসীকে নিয়ে জর্জিকের অফিসে গেলাম। ম্যানেজার থেকে আরম্ভ করে ছোট কর্মচারী পর্যন্ত বলতে লাগল, ভিসা পেলেই তো হবে না, ফিরে আসার টাকা জমা দেওয়া চাই। এটি না হলে যেন টিকিট বিক্রিই হতে পারে না। তাদের কথা শুনে ব্যাংকের জমা একশত পাউণ্ড-এর একখানা রসিদ দেখালাম জর্জিক জাহাজে প্রচুর স্থান ছিল। জাহাজের মানচিত্র দেখে জাহাজের মধ্যস্থলে আমার ক্যাবিন ঠিক করতে বললাম। অনেক চিন্তা করে আমার প্রার্থনা পূর্ণ করা হল, কারণ তখনও জাহাজে অনেক জায়গা