হারলামের দিকে রওনা হলাম এবং নিগ্রোদের ওয়াই. এম. সি. এ-তে স্থান পেলাম।
রুমের ভাড়া এবং ট্যাক্সির মজুরি দিয়ে নিকটস্থ একটি নিগ্রো হোটেলে খেতে গেলাম। খাওয়া শেষ করে দু সেণ্টের একখানা সংবাদপত্র কিনে বোধহয় নবম তলায় অবস্থিত একটি রুমে এসে দরজা খুলেই মনে হল এটা ওয়াই. এম. সি. এ-ই বটে। তবে হাতে টাকা প্রচুর রয়েছে, দরজাটা ভাল করে বন্ধ করা কর্তব্য। ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে দিয়ে এই গভীর রাত্রে সেদিনের প্রভাতী সংবাদপত্র পাঠ করতে আরম্ভ করলাম। অনেকক্ষণ সংবাদপত্র পাঠ করে রাত্রি তিনটার সময় ঘুমালাম। সকালে আটটার সময় ঘুম থেকে উঠে যখন বাইরের দিকে তাকালাম তখন দেখলাম অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে। ১৩৫নং স্ট্রীটের পশ্চিম দিকে ওয়াই এম. সি. এ অবস্থিত। রাস্তার দুদিকে বড় বড় বাড়ি তবে বাড়িগুলির অবস্থান আমাদের দেশের বাড়ির মত এলোমেলো ভাবে নয়। ‘ব্লক’ করে বাড়ি সাজান। তা সে নিগ্রো পল্লীই হোক আর সাদা চামড়াদের পল্লীই হোক। এই পৃথিবীতে জার্মানী আর আমেরিকা ছাড়া কোথাও এরূপ ‘ব্লক’ প্রথায় বাড়ী তৈরী হয় নি। তবে রুশিয়ায় এ নিয়মটি প্রবর্তিত হবে বলে মনে হয়। ব্লক পদ্ধতিতে বাড়ী করলে পিচ দেওয়া বড় পথকে খুঁড়তে হয় না, যেমন আমাদের কলকাতায় হয়ে থাকে। ব্লক প্রথায় বাড়ি করা হয় বলে, জল, গ্যাস বিজলি বাতি প্রভৃতি এমন সুন্দরভাবে রাখা হয় যে, তার সংগে পথের সম্পর্কই থাকে না। সবই পেভমেটের নীচে চলেছে।
দাঁড়িয়ে হাঁ করে পথের দু পাশের বাড়িগুলি দেখতে লাগলাম। দেখলাম প্রত্যেকটি বাড়ির জানালা বন্ধ। বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না কে কোথায় বাস করছে। পথে স্রোতের মত মোটরকার,