পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
আজকের আমেরিকা

তিন সেণ্ট করে হয়। সাপ্তাহিক, মাসিক, এসকল পত্রিকা ছাড়াও অনেক সংবাদপত্র আছে যাতে বিজ্ঞাপন থাকে না। যেমন ডেলী ওয়ার্কার, পিপুল্‌ ওয়ার্ল্ড যাতে পয়সা দিয়ে কেউ বিজ্ঞাপন দিতে পারে না। তাদের বিষয় নিয়েই বিনা পয়সায় বিগ্‌গাপন থাকে, সেজন্য প্রত্যেক দিন চাঁদা উঠছে এবং কোন জেলার লোক কত চাঁদা দিবে তাও নির্ধারিত হয়ে থাকে। আমেরিকার প্রগতিশীল যুবক যুবতী সেই পত্রিকাগুলির গ্রাহক। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদিও ঐ সংবাদপত্রগুলির প্রবেশ নিষেধ, তবুও ঐ সংবাদপত্রগুলিই যুবক যুবতীর আশা আকাংখা ও আদর্শের প্রতীক।

 আমেরিকায় যারা এসব সংবাদ রাখে, তাদের বলা হয় “পারসেনটেজ’। আমেরিকার এই “পারসেনটেজ” পার্টির লোক রোজই বাড়ছে তাই আজ রুজভেল্ট চিৎকার করেও অনেক কাজে অনেকের সাড়া পান না এবং পাবেন বলে বোধও হয় না। এরা ওৎ পেতে বসে আছে সুযোগ পেলেই আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস করবে বলে। এই হল আমার ধারণা। কমিউনিস্টি দলের লোককেই উপহাস করে পারসেনটেজ বলা হয়।

 ভাবছিলাম আজ রাত্রে বাইরে যাব না। পকেটে একতাড়া নোট রয়েছে। ভয় হল যদি নিউইয়র্কের গুণ্ডার পাল্লায় পড়ি, তবে পথে বসতে হবে। হঠাৎ মনে হল অতীত দিনের স্মৃতি, যেদিন পৃথিবী পর্যটনে বের হয়েছিলাম সেদিন পকেটে একটি পয়সাও ছিল না। আজ টাকা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে, চুলায় যাক টাকা, আমেরিকাকে আমার দেখতেই হবে। আমি দেশেও ফকির, বিদেশেও ফকির হলে অভিজ্ঞতা ভাল হবে। তখন রাত প্রায় এগারটা। বের হয়ে পড়লাম পথে।

 বিজলি বাতির আলোয় হারলামের প্রশস্ত পথগুলি আলোকিত। ব্রডওয়েতে বেড়াতে হলে এই শীতেও ঘাম বের হয়, বিজলি বাতির