বের হব ঠিক করলাম। গরমের সময় দুপুর বেলা অল্প লোকই পথে বের হয়। তা বলে মনে করা উচিত নয় যে পথে লোক চলাচল একদম বন্ধ হয়ে যায়; পাগড়ী বেঁধে পথে বের হতে আমার মোটেই ইচ্ছা হচ্ছিল না। বের না হলে নয় বলে একটা আংশিক নির্জনপথে চলাই ঠিক করলাম। পন্চম্ এ্যাভেনিউ তে না গিয়ে অষ্টম এ্যাভেনিউতেই যাওয়া ঠিক করলাম। পথে বের হয়ে কতকদূর যাবার পরই ইহুদী এবং আরবগণ “প্রিস্ট্, প্রিস্ট্” (ধর্ম পুরোহিত) বলে চিৎকার করতে লাগল। তাদের এড়িয়ে তাড়াতাডি হাঁটতে লগলাম। একটু এগিয়ে যাবার পর তিনটি আমেরিকান্ যুবতী আমার সামনে এসে দাঁড়াল এবং তাদের হাত দেখে যদি তাদের ভাগ্য বলতে পারি তবে প্রত্যেকে একটি করে ডলার দিবে সে লোভও দেখাল। তাদের কথায় আমি থমকে দাঁড়ালাম। তারা কি চিন্তা করে তিন ডলারের তিনখানা নোটি আমার হাতে দিতে চাইল। তাদের ডলার ফিরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তারা আমেরিকান না ইউরোপীয়ান? যুবতীরা বলল তারা আমেরিকান এবং হিন্দু অকালটিস্ট, স্পিরিচুয়েলিস্ট পামিস্ট্ এসবের উপর তাদের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। তাদের কথা শুনে আমি বললাম এসব আমি মোটেই বিশ্বাস করি না, তারা ইচ্ছা করলে আমাকে রেহাই দিতে পারে। মেয়েরা বলল, “আমেরিকাতে হিন্দু এবং ইউরোপীয় জিপ্শীরা এসব করেই দুপয়সা রোজগার করে, আপনি তা থেকে বাদ যেতে পারেন না, এসব যদি আপনি না জানেন বলেন তবে নিশ্চয়ই আপনি হিন্দু নন।”
“আপনাদের কি ধারণা যে আমরা এসব করেই দিন কাটাই? মহাত্মা গান্ধির নাম শুনেছেন কি?”
“হাঁ শুনেছি তিনি একজন ফকির ছাড়া আর কিছুই নন।”