পরিত্যাগ করে অন্যত্র আর কিছু দেখার মত আছে কিনা তা দেখাতে বললাম।
লোকে ওয়াশিংটন দেখতে যায়। আমি কিন্তু সেদিকে পা বাড়াইনি। সেখানে যেয়ে লাভ কি? ওয়াশিংটনে কি হবে কি না হবে তা ঠিক হয় ওয়ালস্ স্ট্রীটে। এখানে থেকেই আমেরিকার গতিপথ দেখা ভাল। শহর হিসাবে ওয়াশিংটন আমার দেখা উচিত ছিল, কিন্তু দক্ষিণ দিকে বর্ণবিদ্বেষ এতই প্রবল যে তাল সামলাতে পারব না বলেই সেদিকে পা বাড়াইনি।
যে সকল ভারতবাসী ভারতের বাইরে যান তাদের প্রত্যেকের উচিত বিদেশীর সহানুভূতি অর্জন করা। সেরূপ সহানুভূতি অর্জন করতে হলে অর্থ এবং সময়ের দরকার। আমার কিন্তু এদুটার কোনটাই ছিল না। তবে যারা বিদেশে আড্ডা গেড়ে বসেছেন এবং দেশসেবাই যাদের একমাত্র কাজ, তারা না করতে পারেন এমন কাজ নাই। লোকমুখে শুনেছি, মিঃ হরিদাস ও মোবারক আলী এবং আরও কয়েকজন ভদ্রলোক আমেরিকাতে ভারতবাসীর জন্য বেশ খাটছেন, এমন কি তারা নিজের খেয়ে জংগলের মোষ পর্যন্ত তাড়াতে কসুর করছেন না। আর্ল বল্ডুইন যখন আমেরিকায় লেকচার দিতে গিয়েছিলেন তখন এই দুটি ভদ্রলোক নাকি আর্ল মহাশয়ের প্রত্যেক লেকচারে উপস্থিত হয়ে তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতেন।
অনেক চিন্তা করে দেখলাম হারলামে থাকা উচিত হবে না। এদিকে আমার সংগে যে সামান্য অর্থ ছিল তারও একটা সুব্যবস্থা করতে হবে, তাই একদিন বাড়িওয়ালীর মেয়েকে সংগে নিয়ে একটি ব্যাংকে গেলাম। ব্যাংক ম্যানেজার ইংলিশম্যান, তিনি আমাকে নিগ্রো দুহিতার এক সংগে দেখে কিছুই মনে করলেন না, কিন্তু তার অন্যান্য সহকারীরা আমার দিকে