তাকিয়ে রইল। নিগ্রোরা কোন ব্যাংকে গিয়ে চেয়ারে বসতে সাহস করে না। আমি অভ্যাসবশেই একটা চেয়ার টেনে বসলাম এবং সংগের নিগ্রো মেয়েটিকেও অন্য একখানা চেয়ারে বসিয়ে দিলাম।
ম্যানেজার আমার সংগে কথা বলে একজন সংবাদপত্রের রিপোর্টারকে ডাকলেন। রিপোর্টার আমার দেশ এবং আমার সম্বন্ধে অন্যান্য সংবাদ নেবার পর জিজ্ঞাসা করলেন এমেরিকায় সাইকেলে বেড়িয়ে আমার কি লাভ হবে? আমি রিপোর্টারকে বললাম “এদেশ দেখাই আমার কর্তব্য, দেশে গিয়ে এদেশ সম্বন্ধে অনেক কথা বলতে পারব। এরই মাঝে বুঝতে পেরেছি, যে সকল ধারণা আমার দেশের লোক আপনাদের দেশ সম্বন্ধে পোষণ করে তা মোটেই সত্য নয়। এদেশেও ডিমক্রেসী নাই। এদেশেও লোক অভুক্ত অবস্থায় থাকে। ডিমক্রেসী যে সকল দেশে বর্তমান আছে সেখানে কেউ উপবাস করে না। সোভিয়েট চীন, সোভিয়েট রুশিয়ায় তো কেউ উপবাস করে না। সকলেরই কাজ করার অধিকার আছে এবং সকলেই কাজ করছে। পূঁজিবাদীরা মুখে বলে তারা ডিমক্রেটিক, আসলে কিন্তু তারাও এক ধরনের ফেসিস্থ।” এসব কথা বলতে রিপোর্টারের সন্দেহ হল আমি ইন্টার ন্যাশনেল কমিউনিস্ট দলের একজন সভ্য। লোকটির ভুল ভেংগে দিয়ে বললাম, “আমি কোন দলের লোক নই, আমি একজন পর্যটক মাত্র। তবে অনেকদিন দেশ ভ্রমণ করে খাঁটি ডিমক্রেসীর সন্ধান পেয়েছি বলেই এসব কথা বলতে বাধ্য হয়েছি। আমরা শুনেছি আমেরিকার সকলই ধনী, এখানে এসে দেখলাম বেকার মজুরের সংখ্যাও উপেক্ষা করার মত নয় এবং মজুরীর দামও কমতে আরম্ভ করেছে। তবে একটি কথা শুনে সুখী হবেন মিঃ রিপোর্টার, আপনারা এদেশে যত উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন অন্য কোন দেশ সেরূপ উন্নতি করতে সক্ষম হয়নি।