অনেকেই হয়ত শুনেছেন আমেরিকার লোক ধনী। আমারও সেই ধারণা ছিল। আমেরিকার নিউইয়র্ক নগরে কয়েক সপ্তাহ থাকার পরই নিত্য নূতন সংবাদ আমি পেতে লাগলাম। শ্রীহট্ট নিবাসী আমেরিকা প্রবাসীরা এবং অন্যান্য প্রবাসী ভারতবাসীরা আমাকে মিস্ মেয়ো লিখিত বই এর একটা পাল্টা বই লিখতে বললেন এবং সেই অনুযায়ী নানা স্থানের এবং নানা লোকের সংগে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে লাগলেন। যে যা বলতেন সব কিছুতেই আমি সম্রাট নাসিরউদ্দীনের মত ‘তাই হবে’ বলে সায় দিতাম, কিন্তু আমার মনের কথা কারও কাছে বলতাম না। ঠিক করেছিলাম, আমেরিকাতে ভাল যা কিছু দেখব দেশে গিয়ে তারই কথা বলব। আমেরিকার দোষের কথা স্বদেশবাসীর কাছে বললে তাতে আমেরিকার ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হবে আমাদেরই।
টাইম্স্ স্কোয়ার নিউইয়র্ক-এর একটি প্রসিদ্ধ স্থান। টাইম্স্ স্কোয়ার দুই ভাগে বিভক্ত, আপ ও ডাউন। আমাদের কথায় বলব “পাতলপুরী এবং আকাশ পুরী”। মর্ত্য বা উপরে ৪২নং স্ট্রীট ও ৫নং এভিনিউ এর সংযোগ স্থলে দিনরাত লোকের ভিড় লেগে থাকে। এমন ভিড় কলকাতার কোথাও দেখা যায় না। জনতা নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন সর্বসাধারণ দ্বারা শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সংগে প্রতিপালিত হয়। এতে জনতার সকল রকমের সুবিধা হয়। ফুটপাথে যারা চলে তারা একে অন্যকে বাঁয়ে রেখে চলে। আলোর সাহায্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হয়; অবশ্য পুলিশও থাকে। পুলিশ দুরকমের। যারা পুলিশের সাধারণ পোষাক পরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে, পদচারীদের নানা বিষয়ে সাহায্য করে। তাদের ছাড়াও আর একরকমের গুপ্ত পুলিশ আছে। তাদের দেখি নি। তাদের কথা শুনেছি মাত্র। তারা গুপ্ত পুলিশ, ওদের বলা হয় ‘জিম্যেন’। তাদের পোষাকের কোন বিশেষত্ব নাই। সাধারণ পোষাক