দেওয়া হয়। কিন্তু মনে রাখা উচিত, সাহায্য সহজলভ্য নয়, তাতে সুপারিশের দরকার হয়। তাছাড়া নাগরিকের অধিকার না থাকলে এ সাহায্য পাওয়া যায় না। সুপারিশ ও নাগরিকের অধিকার লাভ ভারতবাসীর পক্ষে যেমন কষ্টকর, ইউরোপীয়দের পক্ষে তত কষ্টকর না। হলেও সহজে তারাও নাগরিক হতে পারে না। এ এক বড় বালাই। গরিবদের বিক্ষোভের পুন্জীভূত ধূমরাশি ঊর্ধ্বাকাশে উঠছে, এখন বাকী শুধু অগ্নির সন্চার; হয়ত একদিন অনুকূল বাতাসের সন্চার হবে এবং আগুনও দেখা দিবে। তখনই প্রকৃতভাবে আমেরিকায় “বাই দি পিপুল, ফর দি পিপুল, অফ দি পিপুলের” স্বরূপ বিকশিত হবে।
গত বৎসরের হিসাব মতে আমাদের দেশের লোক আমেরিকায় মাত্র তিন হাজার ছিল। নিউইয়র্ক, ডিট্রয়, স্টকটন, লুগাই ও ইম্পেরিঅ্যাল ভ্যালিতেই তারা থাকে। অন্যান্য স্থানে যে দু-একজন আছে তারাও উক্ত হিসাবের অন্তর্ভুক্ত তবে তাদের সংগে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। এখন আমি আর সকলের কথা ছেড়ে দিয়ে নিউইয়র্ক-এর ভারতীয়দেরই কথা বলব।
নিউইয়র্ক-এর হিন্দুদের সংখ্যা পাঁচ-শ থেকে ছয়-শ; এর মধ্যে বাংগালী মুসলমানই শতকরা নব্বইজন। বাকী দশজন অন্যান্য ভারতবাসী। তাতে পান্জাবী, পারসী, বাংগালী হিন্দু, সিংহলীও আছে, এবং তারা প্রত্যেকেই দেশ থেকে ভাল রকম লেখাপড়া শিখেই গিয়েছিল। বাংগালী মুসলমানরা আমেরিকাতে নাবিক হয়ে যায় এবং জাহাজ থেকে পলায়ন করে চিরতরে আমেরিকায় বসবাস করবার চেষ্টা করে। যে কয়জন শিক্ষিত লোক আমেরিকায় গিয়েছে তারাও ফিরে আসবে বলে মনে হয় না। আমেরিক সরকার বর্তমানে একটা আইন পাশ করেছেন; যে সকল বাদামী (Brown) ও হলদে