অদূরে ইম্ফল্ শহর দেখা গেল। এ্যাণ্টি-এয়ার-ক্রাফট্ গানের লক্ষ্য হইতে দূরে থাকিয়া পাইলট এরোপ্লেন্ লইয়া চলিল। শত্রুসেনার অবস্থান যতদূর সম্ভব পর্য্যবেক্ষণ করা হইল।
মণিপুর নদীর ধারে প্রাচীন রাজপ্রাসাদ ও দুর্গের ধ্বংশাবশেষ দেখা গেল। নদী এখানে আঁকিয়া বাঁকিয়া দক্ষিণ দিকে বহিয়া গিয়াছে। গোবিন্দজীর মন্দিরের চূড়াগুলি নীল আকাশের গায়ে সুন্দর দেখাইতেছিল।
আমরা যখন কোহিমা ফ্রণ্টের ছাউনির নিকট পৌছিলাম, তখন বেলা একটা বাজিয়া গিয়াছে।
কোহিমার পখে ভারত আক্রমণের দিকেই বেশী জোর দেওয়া হইবে। কোহিমার উত্তর দিকে পাহাড় এবং নিবিড় জঙ্গলের ভিতর দিয়া এই পথ আসামে গিয়াছে। এই দুর্গম পথে সৈন্য চালনা কঠিন। কিন্তু জাপানীদের নিকট পাহাড় ও জঙ্গল-যুদ্ধ আমরা শিখিয়াছি। এবিষয়ে তাহারা ওস্তাদ।
কোহিমা ফ্রণ্টে আজাদ হিন্দ ফৌজের তিনটী রেজিমেণ্ট্ লড়াই করিতেছে। সেনানায়কের নামের আদ্যক্ষরে প্রত্যেক দলের নামকরণ হইয়াছে।
‘এ’ পার্টি—কাপ্তেন্ আজমীর সিং-এর নাম অনুসারে
‘এম্’ পার্টি—লেফ্ট্ন্যাণ্ট্, মুহম্মদ হুসেনের নাম অনুসারে
‘জি’ পাটি—লেফ্ট্ন্যাণ্ট্ গুরুচরণ সিং-এর নাম অনুসারে ইহা ছাড়া একটা বাড়্তি রেইন্ফোর্সমেণ্ট (Reinforcement) দল আছে; তাহার নায়ক লেফ্ট্ন্যাণ্ট্ দল বাহাদুর।
আমরা কোহিমার পথ চিনি না। জাপানীরা এই পথের সকল