পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১১৩

১৮ই এপ্রিল ১৯৪৪:

 আজ যুদ্ধের রিপোর্ট লইয়া হেড্ কোয়ার্টারে যাইতেছি। ইংরেজদের এক নূতন সেনাদল কোহিমার দিকে অগ্রসর হইতেছে; তাহাদের সঙ্গে আছে অনেকগুলি ট্যাঙ্ক।

 বর্ষায় পথগুলি কর্দ্দমে পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। তাহার ফলে যানবাহন চলাচল কষ্টকর হইয়া উঠিয়াছে। এইজন্য খাদ্য অস্ত্রশস্ত্র ও ঔষধ ঠিক মত আনা যাইতেছে না।

৩০শে এপ্রিল ১৯৪৪: রেঙ্গুন:

 সম্প্রতি আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের নিজস্ব ব্যাঙ্ক রেঙ্গুনে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব জাতীয় ব্যাঙ্ক আছে। আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক আমাদের একটা বড় অভাব পূর্ণ করিয়াছে।

 আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের কাজ এতদিন চলিয়াছে প্রবাসী ভারতবাসীদের দানে। কিন্তু এইভাবে কোন রাষ্ট্র চলিতে পারে না, বিশেষতঃ আমাদের শ্রেষ্ঠ দুইটি শক্তির সহিত যুদ্ধ করিতে হইতেছে। পূর্ব্ব এশিয়ার প্রবাসী ভারতবাসী মাত্রেই আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের প্রজা। তাহাদের নিকট হইতে নিয়মিত ট্যাক্স আদায়ের ব্যবস্থা এতদিনে সম্পূর্ণ হইয়ছে। এই সব টাকা রাখিবার জন্য জাতীয় ব্যাঙ্ক আবশ্যক। ব্যাঙ্কে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা জমা হইয়াছে। শ্রীদীননাথ ব্যাঙ্কের একজন প্রধান উদ্যোগী।

২৫শে জুন ১৯৪৪:

 আজ মণিপুরের খবর বড় খারাপ। কোহিমা আমাদের হস্তচ্যুত হইয়াছে। ভীষণ বর্ষা নামিয়াছে। বর্ষার জন্য কোহিমা-ইম্ফলের পথ