পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১১৭

লোকের মনে পুনরায় অংশার সঞ্চার করিয়াছে—অমাদের নূতন অভিযান শীঘ্রই আরম্ভ হইবে। নেতাজী বলিয়াছেন:—

 ‘আজাদ হিন্দ বাহিনীর অগ্রবর্ত্তী দলণ্ডলি ১৯৪৪ সানের মার্চ মাসে ভারত-ব্রহ্ম সীমান্ত অতিক্রম করে। সুতরাং এখন ভরিতের স্বাধীনতার জন্য ভারতের মাটিতেই যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে।

 ‘ব্রিটিশগণ এক শতাব্দীর অধিক কাল ভারতকে অধীন করিয়া রাখিয়াছেন এবং তাঁহাদের হইয়া লড়িবার জন্য বিদেশী সৈন্য আমদানী করিয়াছেন। এই প্রকারে আমাদের বিরুদ্ধে এক প্রবল শক্তিশালী বাহিনী নিযুক্ত হইয়াছে। আমাদের সৈন্যরা আমাদের দাবীর যৌক্তিকতায় অনুপ্রাণিত হইয়া ভারত ব্রহ্ম সীমান্ত অতিক্রমের পর অধিকতর সুসজ্জিত বিভিন্ন জাতীয় শত্রুসৈন্যের সম্মুখীন হইয়াছে এবং প্রত্যেক যুদ্ধে তাহাদের পরাজিত করিয়াছে। দেখা গিয়াছে যে আমাদের সৈন্যরা অধিকতর সুশিক্ষিত এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ। স্বাধীনতা লাভের জন্য মৃত্যুপণ করিয়া অটল সঙ্কল্প লইয়া তাহারা অনায়াসে শত্রুপক্ষ অপেক্ষা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। প্রত্যেকবার পরাজিত হওয়ায় শত্রুর মনোবল ক্ষুণ্ণ হইয়াছে।

 ‘অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যেও যুদ্ধ করিয়া আমাদের অফিসার ও সৈন্যগণ অসীম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়াছেন এবং সকলের প্রশংসাভাজন হইয়াছেন। দেহের রক্ত এবং জীবন দান করিয়া এই সকল বীর যে ঐতিহ্যের সৃষ্টি করিয়াছেন ভারতের ভাবী সৈনিকগণকে তাহা রক্ষা করিয়া চলিতে হইবে।

 ‘যখন ইম্ফল আক্রমণের আয়োজন সমস্ত ঠিক, সেই সময় প্রবল বৃষ্টি আরম্ভ হয় এবং রণকৌশলের দিক হইতে ইম্ফল আক্রমণ অসম্ভব হইয়া