পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১১৯

৫ই আগষ্ট ১৯৪৪:

 আজ সিঙ্গাপুর হইতে লেফটন্যাণ্ট মূর্ত্তি আসিয়াছেন। তিনি আমায় বলিলেন—‘তুমি টোকিও মিলিটারী একাডেমীর শিক্ষার সুযোগ লইলে না। এরূপ সুযোগ খুব কমই আসিবে। বৃদ্ধ না হইলে আমি যাইতাম।’

 তাঁহার নিকট জানিলাম, গত ১০ই মার্চ শিক্ষার্থীদের প্রথম দল টোকিও গিয়াছে; সেই দলে ৩৫ জন ছিল। ইহারা টোকিও মিলিটারী একাডেমী এবং বিমান বাহিনী শিক্ষালয়ে শিক্ষালাভ করিতেছে। আগামী মাসে আরও ১৫ জন যাইবে।

৭ই আগষ্ট ১৯৪৪:

 আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্কে আজ টাকা অনিতে গিয়াছিলাম। ব্যাঙ্কের কাজ খুব ভালো চলিতেছে এবং এই অল্প সময়ের মধ্যে ইহা প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্কের অভাবে অসুবিধা হইতেছিল; এখন সেই অসুবিধা দূর হইয়াছে। বর্মীরা পর্য্যন্ত এই ব্যাঙ্কেই টাকা রাখা বেশী নিরাপদ মনে করে।

 ব্যাঙ্কের একজন কর্মচারীর নিকট জানিলাম-ব্যাঙ্কে অজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টেরই জমা আছে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ডলার; তাহা ছাড়া সাধারণের আমানত জমা আছে।

 আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট স্থাপনের পর হইতে এদেশে ভারতীয়দের সম্মান এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাইয়াছে। পূর্বে ইহারা ছিল এদেশে নিরুপায় প্রবাসী—সহায়হীন। বিদেশী রাষ্ট্রের দয়ার উপর নির্ভর করিতে হইত এবং লুণ্ঠন ও অত্যাচারের হাত হইতে রক্ষার কেহ ছিল। আজ আর সে দিন নাই। প্রবাসী ভারতবাসী আজ সঙ্ঘবদ্ধ ও