পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

শক্তিশালী। অনেক ভারতীয় ব্যবসায় করিয়া প্রচুর অর্থ উপার্জ্জন করিতেছে।

২০শে অক্টোবর ১৯৪৪: তাদাগালে:

 আজ রেঙ্গুন হইতে মিংগালাদন্ যাইতে হইবে। দুই ঘণ্টার ছুটি লইলাম। রেঙ্গুন হইতে মিংগালাদন্ মাত্র ১২ মাইল। পথে পড়ে তাদাগালে। একবার তাদাগালে যাইব; অং ফয়ার খবর অনেক দিন পাই নাই। আজ তাহার কথা অনবরত মনে পড়িতেছে।

 তাদাগালে পৌছিয়া ফয়ার দিদিমার কুটীরের দিকে চলিলাম। ফয়া আমাকে দেখিয়া বিস্মিত হইবে; তাহার নিশ্চয়ই অভিমান হইবে এতদিন কোন খবর না লওয়ার জন্য। মনে মনে ঠিক করিয়া লইলাম, কি উত্তর দিব।

 কুটীরের সম্মুখে আসিয়া পড়িয়াছি। কুটীরের দেওয়াল ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে—উপরে চাল নাই। চারিধার নির্জ্জন—জন মানবের চিহ্ন নাই। পাশাপাশি সব বাড়ীগুলিরই অবস্থা এইরূপ। ইহাদের কি হইল—কোথায় গেল—কোন খবর পাইলাম না।

 বিষণ্ণ মনে তাদাগালে ত্যাগ করিয়া মিংগালাদনের দিকে চলিলাম।

২১শে অক্টোবর ১৯৪৪: মিং গালাদন্:

 অজাদ হিন্দ্ ফৌজের এক বিরাট সমাবেশ হইয়াছে। সারি সারি তাঁবু পড়িয়াছে। নেতাজী আসিয়াছেন।

 প্রথম পদাতিক বাহিনীর প্যারেড্ হইল। নেতাজী স্যালিউট্ গ্রহণ করিলেন। এমন সময় সাইরেন্ বাজিয়া উঠিল! শত্রুবিমান আসিয়া পড়িয়াছে।

 আকাশে বিমানগুলি দেখা গেল অনেক উপরে। বিমান হইতে