পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১২১

আমাদের তাঁবুর উপর মেসিন্ গানের গুলি বর্ষণ আরম্ভ হইল। সৌভাগ্যক্রমে তাঁবুগুলিতে কেহ ছিল না।

 জাপানী জঙ্গী বিমানগুলি সঙ্গে সঙ্গেই আকাশে উঠিয়াছে। ইহারা শত্রু বিমানকে আক্রমণ করিল। আত্মরক্ষারত শত্রু বিমান হইতে গুলিবর্ষণ বন্ধ হইয়া গেল।

 আযাদের সৈন্যেরা নীরবে ট্রেঞ্চে গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল।

 সাইরেন বাজিতেই সেনানায়ক নেতাজীকে ট্রেঞ্চে আশ্রয় গ্রহণের জন্য অনুরোধ করিলেন।

 তিনি বলিলেন—‘সমস্ত সৈনিক যতক্ষণ না ট্রেঞ্চে আশ্রয় গ্রহণ করে, আমি এইস্থান হইতে নড়িব না।’

 শেষ সৈনিকটি ট্রেঞ্চে নামিবার পর নেতাজী নিজেও তাহাদের সহিত একই ট্রেঞ্চের মধ্যে গিয়া বসিলেন।

 আকাশে শত্রু ও জাপানী এরোপ্লেনে যুদ্ধ চলিতেছিল। কয়েক মিনিটের মধেই আক্রমণকারী এরোপ্লেনগুলি পলাইয়া গেল। জাপানীদের দুইখানি এরোপ্লেন নষ্ট হইল।

 আমাদের কেহই হতাহত হয় নাই। কেবল দুটি তাঁবু নষ্ট হইয়াছে।

৫ই জানুয়ারি ১৯৪৫:

 আজ ফতে সিং-এর সঙ্গে আলাপ হইল। ইনি যুদ্ধ আরম্ভের সময় জার্ম্মানিতে ছিলেন এবং গতমাসে জাপান হইয়া এখানে আসিয়াছেন। ইহার নিকট হইতে জার্ম্মানি ও ইটালিতে আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বপূর্ণ-ইতিহাস শুনিলাম। এই সেনাদল জার্ম্মানিতে গঠন করেন নেতাজী।

 জার্ম্মানি ও অষ্ট্রীয়ায় কয়েকজন ভারতীয় যুবক অধ্যয়নের জন্য ছিলেন;