পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২২
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

যুদ্ধ আরম্ভ হইলে ইহারা আটক পড়িয়া যান। ইতিমধ্যে বিজয়ী জার্ম্মান বাহিনীর হাতে বহু ভারতীয় সৈনিক বন্দী হইয়াছিল।

 সুভাষচন্দ্র ভারত হইতে পলায়ন করিয়া যখন জার্ম্মানীতে উপস্থিত হইলেন, তখন এই সকল ভারতবাসীকে লইয়া এক সেনাদল তাঁহার নেতৃত্বে গড়িয়া উঠিল। ইহার নাম হইল স্বাধীন ভারত বা ফ্রিস্ ইণ্ডিয়েন্। জার্ম্মানীর কোনিগস্‌বর্গে ভারতীয় যুদ্ধ বন্দীদের যে সমাবেশ হইয়াছিল নেতাজী তাহাতে উপস্থিত ছিলেন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জ্জনের উদ্দেশ্যে একদল ভারতীয়কে আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় শিক্ষিত করা নেতাজীর উদ্দেশ্য ছিল। ইউরোপে যে মহাযুদ্ধ চলিতেছে তাহাতে যুদ্ধ বিজ্ঞান শিক্ষার যে অপূর্ব্ব সুযোগ উপস্থিত হইয়াছে, হিটলারের সহায়তায় নেতাজী তাহার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করিতে চাহিয়াছিলেন। যদি সুযোগ উপস্থিত হয় তাহা হইলে এই সেনাদল ভারতবর্ষকে স্বাধীন করিবার চেষ্টা করিবে।

 সুভাষচন্দ্র জার্ম্মানিতে যে স্বাধীন ভারত গর্ভর্ণমেণ্টর সূচনা প্রতিষ্ঠা করেন তাহা কাহারও অধীন ছিল না। ভারতবর্ষ চায় শুধু নিজের স্বাধীনতা; জার্ম্মানির পররাজ্য গ্রাস প্রচেষ্টায় সহায়তা ভারত করিবে না। কেবলমাত্র ইংলণ্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফ্রিস্ ইণ্ডিয়েন্ সৈন্যদল ব্যবহৃত হইয়াছিল। রুশিয়ায় পর্য্যন্ত এই সেনাদল পাঠাইতে দেওয়া হয় নাই। এই সেনাবাহিনীর নীতির উপর হিট্‌লার বা মুসোলিনীর কোন প্রভাব ছিল না।

 আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—‘ইউরোপে ফ্রিস্ ইণ্ডিয়েন্ বাহিনীতে সৈন্য কত ছিল?’

 ‘প্রথমে যখন ১৯৪২ সালের ২৬ শে জানুয়ারি তারিখে এই বাহিনী