গঠিত হয়, তখন সৈন্য বেশী ছিল না; বোধ হয় দেড় হাজার হইবে। কিন্তু পরে বাড়িয়া ঐ সংখ্যা হয় প্রায় পাঁচ হাজার। উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধে তোবরুকে বন্দী ভারতীয় সৈনিকেরা ইটালী ও জার্মানিতে স্থানান্তরিত হয়; তাহাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের ফৌজে যোগ দিয়াছিলেন।’
‘আপনারা কি শুধু জার্ম্মানিতেই ছিলেন?’
‘আমরা ইউরোপের বিভিন্ন রনাঙ্গনে ছড়াইয়া ছিলাম। আমাদের বেশীভাগ ছিল ফ্রান্সের দক্ষিণ অঞ্চলে এবং হল্যাণ্ডে। ইটালীতেও আমাদের একটি ছোট দল ছিল। লেফট্ন্যাণ্ট যশোবন্ত সিং সিদ্ধা ইটালীতে ছিলেন। আমরা মার্কিন, ইংরেজ ও ক্যানাডিয়ান বাহিনীর সহিত যুদ্ধ করি। লেফট্ন্যাণ্ট আলি খাঁ গত বৎসর (১৯৪৪) আগষ্ট মাসে জেনারেল দ্য গলের বাহিনীর সহিত যুদ্ধে নিহত হইয়াছেন।’
‘রোম রেডিও হইতে বন্দে মাতরম গান এবং ইংরাজী ও হিন্দী ভাষায় প্রচার শুনিতাম। ইহা কি আপনারা করিতেন?
‘আমাদের ফ্রিস্ ইণ্ডিয়েনের প্রচার বিভাগ হইতে ভারতবাসীর নিকট রেডিওর সাহার্য্যে প্রচারের ব্যবস্থা ছিল। বার্লিন ও রোম হইতে বেতার বক্তৃতা হইত। মধ্যে মধ্যে নেতাজী নিজে বক্তৃতা করিতেন। তাঁহার বক্তৃতাগুলির রেকর্ড তৈরী করা হইয়াছিল; অধিকাংশক্ষেত্রে রেকর্ড বাজানো হইত। ইটালীতে প্রচার বিভাগের ভার ছিল লেফট্ন্যাণ্ট জামিল্ খাঁর উপর। লেফট্ন্যাণ্ট ওরবচান সিংও প্রচার বিভাগের একজন কর্ত্তা ছিলেন।’
‘আপনাদের সৈন্যেরা কি জার্ম্মান বা ইটালীয় বাহিনীর মধ্যে থাকিয়া কাজ করিতেন?’