পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 ‘ফ্রিস্ ইণ্ডিয়েন্ সেনা বাহিনী স্বতন্ত্র ইউনিট ছিল। আমাদের সেনাদলে এই কয়টি বিভাগ ছিল:—

 (ক) ক্ষুদ্র অস্ত্রসজ্জিত দল—তিনটি

 (খ) বৃহৎ অস্ত্র সজ্জিত দল—একটি

 (গ) ট্যাঙ্ক-ধ্বংশকারী ভারী কামান সজ্জিত দল—একটি

 (ঘ) পদাতিক গোলন্দাজ দল—একটি

 (ঙ) স্যার্পাস্ ও মাইনার্স দল—একটি।

 ‘আপনাদের মধ্যে আপনিই কি কেবল এখানে আসিয়াছেন?’

 ‘আমি ও আরও কয়েকজন বার্মায় আসিয়াছি। আমাদের মধ্যে লেফ্‌টন্যাণ্ট হাসান নেতাজীর সঙ্গেই ছিলেন।’

 ‘নেতাজী কি ইউরোপ হইতে ভারত আক্রমণের কল্পনা করিয়াছিলেন?’

 জার্মানী চাহিয়াছিল তড়িৎগতিতে মিশর দখল করিয়া অগ্রসর হইতে। মধ্য প্রাচ্যে যদি জার্মানী ও ইটালী জয়লাভ করিত তাহা হইলে এই সকল সুশিক্ষিত সেনাদল ভারতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে আসিয়া কাজ করিতে পরিত। নেতাজী যখন দেখিলেন যে এই পরিকল্পনা কার্য্যে পরিণত করা সম্ভব নয়, তখন তিনি জার্ম্মানি হইতে জাপানে আসিলেন। জাপান পূর্ব্বেই ভারতের সীমান্তে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। এখান হইতে চেষ্টা করাই আমাদের পক্ষে সুবিধাজনক। হিট্‌লারের সহায়তায় ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে নেতাজী একখানি সাব্‌মেরিনে করিয়া জার্ম্মানী হইতে টোকিও আসেন।’

 ‘তিনি কি একা আসেন?’

 ‘তাঁহার সঙ্গে ছিলেন কর্ণেল হাসান্, লেফ্‌টন্যাণ্ট গোলাম হায়দার