এবং ওয়ালি মহম্মদ। এখানে আসিবার পর ইহাদের কাহারও সহিত আমার আর দেখা হয় নাই।’
ফতে সিং-এর নিকট হিটলারের সহিত নেতাজীর সাক্ষাতের একখানি সুন্দর ফটো দেখিলাম।
৭ই জানুয়ারী ১৯৪৫:
আজ সকালে প্যারেডে কর্ণেল প্রেম কুমার সেহগল্ বক্তৃতা দিলেন। শুনিলাম—ইনি লাহোর হাইকোর্টের জজ অচ্ছুরামের পুত্র এবং দেরাদুন্ মিলিটারি স্কুলে সামরিক শিক্ষা লাভ করিয়াছেন।
সেহ্গল বলিলেন—তাঁহার সৌভাগ্যক্রমে তিনি যে রেজিমেণ্টের ভার পাইয়াছেন তাহা ইতিপূর্ব্বেই রণক্ষেত্রে সুনাম অর্জ্জন করিয়াছে। তিনি সকলের সহযোগিতার জন্য আবেদন জানাইয়া বলিলেন যে যদি কোন অফিসার বা সৈনিকের কোন অভাব অভিযোগ থাকে তিনি তাহা দুর করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন।
আজ সন্ধ্যায় অফিসারদের একটি আলোচনা সভা হইল। নেতাজী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিভাগের কর্ম্মচারী বলিলেন যে সম্প্রতি বাঙলা ও আসামে আমাদের যে বিমান পর্য্যবেক্ষণের জন্য গিয়াছিল তাহার অফিসারের রিপোর্ট হইতে জানা গিয়াছে যে আমেরিকার প্রচুর সমরোপকরণ, এরোপ্লেন, ট্যাঙ্ক, মোটার, মোটর সাইকেল, কামান প্রভৃতি আসিয়া পৌঁছিয়াছে এবং বার্ম্মার সীমান্তে চালান হইতেছে। অন্যান্য সূত্র হইতে খবর পাওয়া গিয়াছে যে বৃটিশ ও আমেরিকার সৈন্যসংখ্যা ২০ লক্ষের কম নয়।
বার্ম্মায় জাপানীদের আড়াই লক্ষের বেশী সৈন্য নাই এবং তাহাদের