পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
১৩৭

কার্য্য শেষ হইবে না, ভবিষ্যতেও পর্য্যবেক্ষণের প্রয়োজন। সুতরাং ভবিষ্যতে আজাদ হিন্দ ফৌজদলের প্রত্যেকের চোখ খুলিয়া পর্য্যবেক্ষণ করা কর্ত্তব্য। ইহার ফলে তাহারা ভীরুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার কোন লক্ষণ দেখা দিলেই ধরিতে পারিবে। ভবিষ্যতে আজাদ হিন্দ ফৌজের কোন ব্যক্তি যদি ভীরুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার কোন চিহ্ন পান তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ তিনি মুখে অথবা লিখে আমাকে বা নিকটস্থ অফিসারদের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন। অর্থাৎ, এখন হইতে সকল সময় প্রত্যেক সৈন্যের মনে করা উচিত যে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের এবং ভারতীয় জাতির সম্মান ও যশের মূর্ত্ত প্রতীক।

 (ঙ) বহিস্করণ ও অনিচ্ছুক ব্যক্তিগণের আমাদের সৈন্যবিভাগ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করিবার পর যদি ভীরু ও বিশ্বাসঘাতকের কোন সন্ধান পাওয়া যায় তাহা হইলে তাহার শাস্তি হইবে মৃত্যু।

 (চ) কাপুরুষতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে আমাদের সৈন্যদের ভিতর একটি নৈতিক প্রাচীর প্রস্তুত করিতে হইলে, ভীরুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে আমাদের ঘৃণার ভাব জাগাইয়া তুলিতে হইবে। এই সৈন্যদলের মধ্যে প্রত্যেকের মনে এই ভাব জাগাইয়া তুলিতে হইবে যে কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতকের ন্যায় ঘৃণ্য কাজ আর নাই। আমাদের সৈন্যবাহিনী হইতে কাপুরুষ ও বিশ্বাসঘাতকদের তাড়াইয়া দেওয়ার জন্য কি করিয়া ভীরুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে ঘৃণার ভাব জাগাইয়া দেওয়া যায় সে সম্বন্ধে পৃথক ভাবে নিয়মাবলী প্রদত্ত হইবে।

 (ছ) বহিষ্করণের পর আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রত্যেক সৈন্যকে এই বলিয়া নূতন করিয়া শপথ গ্রহণ করিতে হইবে যে যতদিন পর্য্যন্ত আমাদের মাতৃভূমির মুক্তি না হয় তত দিন সে সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ চালাইবে।