ইন্কিলাব জিন্দাবাদ!
সুভাষচন্দ্র বসু
আজাদ হিন্দ্ ফৌজের সর্বাধিনায়ক
২১শে এপ্রিল ১৯৪৫ইংরেজ ও আমেরিকান বাহিনী দ্রুতগতিতে রেঙ্গুনের দিকে অগ্রসর হইয়া আসিতেছে। আমাদের সৈন্যদল তাহাদের দৃষ্টি এড়াইয়া শ্যামের অভিমুখে চলিয়াছে। নেতাজীও তাহাদের সহিত ব্যাঙ্ককে যাইবেন। সকলেরই ইচ্ছা নেতাজী এরোপ্লেনে যান। স্থলপথে যাত্রা নিরাপদ নয় এবং তাঁহার জীবন বিপন্ন হইবার সম্ভাবনা খুব বেশী। এরোপ্লেন প্রস্তুত; কিন্তু তিনি তাহাতে যাইতে সম্মত হইলেন না।
নেতাজী বলিলেন—‘আমি আমার বীর সৈনিকদের বিপদের মুখে ফেলিয়া যাইতে পারি না। আমি তাহাদের সঙ্গেই থাকিব।’
কয়েকজন বর্মী নেতা আসিয়াছেন তাঁহাকে বিদায় দিতে। সকলের মুখই বিমর্ষ। নেতাজি বলিলেন—‘আমাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হইতে পারে; কিন্তু ইহাতে দমিলে চলিবে না। আমরা আবার চেষ্টা কবিব। স্বাধীনতা আমাদের আসিবেই।’ সজল নয়নে তাঁহাকে বিদায় দিলাম।
নেতাজি বলিয়াছেন—আবার তিনি আসিবেন—আমাদের সংগ্রামতো এই আরম্ভ। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি। সে দিন কবে আসিবে—কে জানে!
সমাপ্ত