করে, তখন অনেক ভারতীয় সৈনিক ধরা পড়ে। ইহাদের মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ভারতের স্বাধীনতা সঙ্ঘে যোগদান করিয়াছে।
কর্ণেল মোহন সিং, কর্ণেল জি. কিউ. গিলানি এবং কর্ণেল এন্. এস্. গিল্কে দেখিলাম। মালয়ের এন্ রাঘবন, দেবনাথ দাস এবং এ. এম. সহায় রাসবিহারী বসুর নিকটে বসিয়াছিলেন। দেখিলাম—ব্যানার্জির বেশ খাতির।
২৩শে জুন ১৯৪২:
নয় দিন অধিবেশনের পর আজ সম্মেলন শেষ হইল। ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ পূর্ব্বেই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল; এই অধিবেশনে উহা ঘোষণা করা হইল। রাসবিহারী বসু সভাপতি নির্ব্বাচিত হইলেন। সভার প্রধান অফিস হইবে সিঙ্গাপুরে।
এই কয়দিন সভায় প্রায় ৬০।৭০ টি প্রস্তাব পাশ হইয়াছে। তাহার মধ্যে এই কয়টি উল্লেখযোগ্য:—
(ক) পুর্ব্ব-এশিয়ার সকল প্রবাসী ভারতীয়দের বিশেষত অসামরিক ব্যক্তিগণকে সঙ্ঘবদ্ধ করিতে হইবে এবং এমন একটি সঙ্ঘ স্থাপন করিতে হইবে যাহা ভারতবাসীগণের ধন-সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষা ও তাহাদের মঙ্গল করিতে পারে। এই সঙ্ঘের নাম হইল ইণ্ডিয়ান ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ। প্রত্যেক দেশে ইহার একটি করিয়া শাখা থাকিবে।
(খ) ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘের কার্য্য ভারতীয় ভিত্তিতে চলিবে—সাম্প্রদায়িকভাবে নয়।
(গ) ভারতীয় স্বাধীনতা সদ্য কংগ্রেসের নীতি অনুসারে পরিচালিত হইবে।