এই কয়জন কর্ম পরিষদের সদস্য হইলেন—
সামরিক সদস্য—কাপ্তেন মোহন সিং, কর্ণেল গিলানি ও জগন্নাথ রাও ভোঁসলে;
অসামরিক সদস্য: মেনন, রামন ও বোহা।
সভাপতি—রাসবিহারী বসু।
১২ই জুন ১৯৪২: ব্যাঙ্কক্:
আজ ঠিক করিলাম ব্যানার্জির সঙ্গে সিঙ্গাপুর যাইব। ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স্ লীগে একটি কাজ পাওয়া যাইবে। আমার কারবার নষ্ট হইয়া গিয়াছে; এখন রেঙ্গুনে ফিরিয়া কোন লাভ নাই।
একটি জাহাজে মালয় ও সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পৌছিলাম।
দূরে সিঙ্গাপুর। সমুদ্রের ধারের কারখানা হইতে গগনস্পর্শী চিমনি দেখা যাইতেছিল। একখানা ছোট মোটর বোটে পাইলট্ আসিয়া জাহাজ পরিচালনার ভার গ্রহণ করিল। জাহাজ ধীরে ধীরে হার্বারের পথে অগ্রসর হইল।
সিঙ্গাপুর সুন্দর শহর। মোটরে ব্যানার্জির সঙ্গে তাহার বাসায় পৌছিলাম। সিঙ্গাপুর নাম পরিবর্তিত করিয়া জাপানীরা ইহার নূতন নামকরণ করিয়াছে—শোনান্। সিঙ্গাপুর—সংস্কৃত সিংহপুর—প্রাচীন হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিজয়ের স্মৃতি বিজড়িত। সেই স্মৃতির বিলোপ করা উচিত হয় নাই।
ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের প্রধান অফিস ব্যাঙ্ককে; সিঙ্গাপুরের অফিস তাহার অধীন।