পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৪১

ডক অঞ্চলে ও বজবজে পেট্রলের ট্যাঙ্কের উপর বোমা ফেলিয়াছে।

 এবার ভারতবর্ষের পালা।

২৯শে ডিসেম্বর ১৯৪২:

 এই কয়দিনে অনেকগুলি ঘটনা হইয়াছে। জি-ও-সি মোহন সিং এবং আরও দুইজনকে জাপানীরা গ্রেপ্তার করিয়াছে। সৈনিকদের মধ্যে খুব অসন্তোষ চলিয়াছে এবং অনেকেই তাহাদের ব্যাজ্ ফেরত দিয়াছে। আই-এন্-এ প্রায় ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ভারতবাসীমাত্রেই দুঃখিত। গোলযোগের সংবাদ পাইয়া রাসবিহারী বসু আসিয়াছেন। কর্ণেল ইওয়াকুরুর সঙ্গে তাঁহার নাকি অনেকক্ষণ কথা হইয়াছে। কর্ণেল শা নওয়াজও তাঁহার সহিত ছিলেন।

৫ই জানুয়ারি ১৯৪৩:

 কর্ণেল ইওয়াকুরুর সহিত আলোচনার পর স্থির হইয়াছে যে জাতীয় বাহিনীতে যোগদান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক হইবে। কাপ্তেন মোহন সিং যে সেনাবাহিনী গঠন করিয়াছিলেন, তাহার স্থানে একটি নূতন সেনাদল গঠনের চেষ্টা হইতেছে। কর্ণেল শা নওয়াজ্ এজন্য খুব পরিশ্রম করিতেছেন।

১৩ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩:

 রাসবিহারী বসু সিঙ্গাপুরে আসিয়াছেন। যে সকল সৈনিক জাতীয় বাহিনীতে থাকিতে অসম্মত আজ তিনি তাহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। কর্ণেল এ. সি. চ্যাটার্জিও বক্তৃতা দিলেন। কিন্তু পূর্ব্বের ন্যায় উৎসাহ দেখা গেল না।