পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 মালয় ও সিঙ্গাপুরের সাধারণ ভারতীয় অধিবাসীদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়াছে। ইহার উপর জাপানীদের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া স্বাধীনতা সঙ্ঘের মালয় শাখার সভাপতি এন্. রাঘবন্ পদত্যাগ করায় জাপানীদের বিরুদ্ধে মনোভাব খুবই প্রবল।

১৫ই এপ্রিল ১৯৪৩:

 আজ ক্যাম্পে সেনা সংগ্রহের জন্য একটি বক্তৃতার ব্যবস্থা হইয়াছে। কর্ণেল শাহ নওয়াজ্, কাপ্তেন গুরুবক্স ধীলন এবং মেজর ধারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 শাহ নওয়াজ্ ও ধীলন দু’জনেই পঞ্জাবী এবং বৃটিশ রেজিমেণ্টে ছিলেন। ধীলন জাতিতে শিখ। শাহ নওয়াজ্ লাহোর হাইকোর্টের এক জজের পুত্র।

 শাহ নওয়াজ্ বলিলেন—‘আজাদ হিন্দ ফৌজ স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী। যাঁহারা ইহাতে যোগ দিবেন তাঁহারা আসিবেন টাকার লোভে বা মাহিনার প্রলোভনে নয়—দেশের প্রতি ভালবাসার টানে। তাঁহারা পাইবেন শুধু সামান্য হাতখরচ। যদি আমাদের সুদিন আসে, তখন আমরা সকলেই পূরা বেতন পাইব।’

 একজন সৈনিক বলিল—‘জাপানীদের প্রকৃত উদ্দেশ্য আমরা বুঝিতে পারিতেছি না। তাহারা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যের প্রলোভনে ভুলাইয়া ভারতবর্ষ নিজেরাই গ্রাস করিতে পারে।’

 মেজর ধারা বলিলেন—‘আজাদ হিন্দ্ ফৌজ গঠিত হইয়াছে ভারতের স্বাধীনতার জন্য। আমরা যদি দেখি জাপানের উদ্দেশ্য খারাপ, তাহা হইলে জাপানীদের সহিতও যুদ্ধ করিব।’