পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৪৩

 আজ সভাস্থলে শুনিলাম, সুভাষচন্দ্র বসু নাকি জার্মানি হইতে টোকিওতে আসিয়াছেন।

২৮শে এপ্রিল, ১৯৪৩:

 সিঙ্গাপুরে পূর্ব্ব এশিয়ার ভারতীয় প্রতিনিধিদের এক সম্মেলন হইয়া গেল। রাসবিহারী বসু এই সভায় ঘোষণা করেন যে, সুভাষচন্দ্র বসু সিঙ্গাপুরে আসিতেছেন এবং তাঁহার হস্তে সকল দায়িত্ব অর্পণের জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।

 আমি আজ প্রায় ১২ দিন জ্বরে শয্যাগত। ইচ্ছা সত্ত্বেও সভায় যোগ দিতে পারিলাম না।

 রাসবিহারী বসুর উপর সকলেরই বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা আছে; কিন্তু গত কয়েক মাসের ঘটনার ফলে সকলের ধারণা হইয়াছে যে তাঁহার মধ্যে দৃঢ়তার অভাব। এজন্য সুভাষচন্দ্র বসু ভার লইবেন, এ সংবাদে সকলেই আনন্দিত মনে হইল।

৩০শে এপ্রিল ১৯৪৩:

 আজ অফিসে সুভাষচন্দ্র বসুর বাণী দেখিলাম। জার্মানি হইতে টোকিও পৌঁছিয়া তিনি ইহা দেন।

 ‘গত মহাযুদ্ধের সময় আমাদের নেতৃবৃন্দ চতুর বৃটিশ রাজনীতিকদের ভাঁওতায় ভুলিয়া প্রতারিত হইয়াছিলেন। এইজন্য বিশ বৎসর পূর্ব্বে আমরা প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম যে তাহাদের দ্বারা আর কখনও প্রতারিত হইব না। বিশ বৎসর ধরিয়া আমরা স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করিয়াছি এবং সময়ের প্রতীক্ষা করিয়াছি। সেই সময়—ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সূর্য্যোদয়ের মুহূর্ত্ত আজ আসিয়াছে। আমরা জানি—এমন সুযোগ