পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 পরাধীন ভারতবাসীর নিজের গভর্ণমেণ্ট—সকলের মনে এক নূতন উন্মাদনার সৃষ্টি করিল। সভাস্থল পুনরায় নেতাজীর জয়ধ্বনিতে মুখরিত হইল।


৫ই জুলাই ১৯৪৩:

 আজ ভারতীয় জাতীয় বাহিনী আজাদ হিন্দ্ ফৌজের এক বিরাট সেনা সমাবেশ এবং কুচ-কাওয়াজ হইল। রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে যে বাহিনী গঠিত হইয়াছিল, দলাদলির ফলে তাহা প্রায় বিলুপ্ত হইয়াছিল। আজ সুভাষচন্দ্র নূতন করিয়া আজাদ হিন্দ ফৌজ পুনর্গঠনের সংবাদ ঘোষণা করিলেন।

 ‘ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিকগণ!

 ‘আজ আমার জীবনের সর্বাপেক্ষা গর্বের দিন। ভগবানের অসীম অনুগ্রহ যে আজ তিনি আমাকে জগতের সমক্ষে ভারতের মুক্তি সেনা গঠনের কথা প্রচার করিবার সুযোগ দিয়াছেন। যে সিঙ্গাপুর একদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্তম্ভ ছিল, সেইখানে আজ এই সেনাবাহিনী রণসজ্জায় দাঁড়াইয়া আছে। এই সেনাদলই ভারতকে ব্রিটিশ পাশ হইতে মুক্ত করিবে।

 ‘বন্ধুগণ, আমার সৈনিকগণ! তোমাদের সমর-ধ্বনি হইবে—দিল্লী চল, দিল্লী চল!

 ‘আমি জানি না, তোমাদের কতজন এই স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঁচিয়া থাকিবে। কিন্তু আমি ইহা নিশ্চিত জানি যে আমরা শেষে নিশ্চয়ই জয়লাভ করিব। আমাদের মধ্যে যে সকল বীর বাঁচিয়া থাকিবেন, তাঁহারা দিল্লীর প্রাচীন লাল কেল্লায় বিজয় প্যারেড, না করা পর্য্যন্ত আমাদের কার্য্য শেষ হইবে না।