পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

ভারতবর্ষে যাইতে দিব না। যদি তাহারা আমাদের মতের বিরুদ্ধে যাইতে চেষ্টা করে তাহা হইলে তাহাদেরও আমরা আক্রমণকারী বলিয়া গণ্য করিব। ভারতের স্বাধীনতা অর্জন ভারতবাসীরই কর্ত্তব্য—আমরাই তাহা করিব।’

 ভারতীয় যুদ্ধবন্দী ব্যতীত প্রবাসী ভারতবাসীদের মধ্য হইতেও সৈন্য সংগ্রহ করা হইবে। তিনি এই বাহিনীর প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক ও অর্থের জন্য আবেদন করিলেন।

 এইখানে ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা হইল। অনেক দিন পরে এই বিদেশে চেনা লোক দেখিয়া আনন্দ হইল।

 ব্যানার্জি বলিলেন—‘এবার সুভাষচন্দ্র নিজে সব ভার লইতেছেন। কাল তাঁহার সঙ্গে আমাদের কথা হইল।’

 আমি বলিলাম—‘আপনার সঙ্গে তাঁহার আলাপ আছে কি?’

 ‘হাঁ, সামান্য পরিচয় ছিল। কলিকাতা কর্পোরেশনের এক নির্ব্বাচনের সময় আমি কলিকাতায় ছিলাম ও তাঁহার পার্টির জন্য খাটিয়াছিলাম।’

 আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—‘সুভাষচন্দ্র দলগঠন ও বক্তৃতা করিতে পারেন ভালো। আমি বোম্বে ও নাগপুরে তাঁহার বক্তৃতা শুনিয়াছিলাম। কিন্তু এখানে যিনি নেতৃত্ব করিবেন, আধুনিক যুদ্ধ পরিচালনা সম্বন্ধে তাঁহার জ্ঞান থাকা দরকার হইবে না কি?’

 ব্যানার্জি হাসিয়া বলিলেন—‘সুভাষচন্দ্র ভারতবর্ষ হইতে পলায়নের পর এতদিন জার্মানিতে ছিলেন। হিট্‌লার তাঁহাকে ইউরোপের রণাঙ্গনগুলি পর্য্যবেক্ষণের সুযোগ দিয়াছিলেন। তিনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন তাহা ভারতবর্ষে আর কাহারও নাই।’