পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৬১

স্বাধীন হইবার অধিকার নিশ্চয়ই আছে এবং স্বাধীনতার মূল্য দিতে তাহারা প্রস্তুত। আমাদের স্বাধীনতায় জন্মগত অধিকার হইতে বিচ্যুত করিতে পারে এমন কোন শক্তি পৃথিবীতে নাই।

 সহকর্মিগণ, অফিসার ও সৈনিকগণ! আপনাদের অকপট সমর্থন ও অনমনীয় অনুগত্যের দ্বারা আজাদ্ হিন্দ ফৌজ ভারতের মুক্তির যন্ত্রস্বরূপ হইবে। চূড়ান্ত জয় আমাদের হইবেই। আপনার বিশ্বাস করিতে পারেন যে আমাদের কার্য্য ইহার মধ্যেই আরম্ভ হইয়াছে।

 আসুন, আমরা ‘দিল্লী চলো’—এই ধ্বনি উত্থিত করিয়া সংগ্রাম আরম্ভ করি। যতদিন নূতন দিল্লীর বড়লাট প্রাসাদে আমাদের জাতীয় পতাকা না উড়ে-যতদিন ভারতের রাজধানীর ইতিহাস-প্রসিদ্ধ লাল কেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজ তাহার বিজয় উৎসব না করে, ততদিন পর্য্যন্ত আমাদের সংগ্রামের বিরতি যেন না হয়।”

২১শে অক্টোবর ১৯৪৩:

 আজ সকালে সিঙ্গাপুরে ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘের এক বিরাট সভা ক্যাথে বিল্‌ডিং-এ হইবে এবং তাহাতে সুভাষচন্দ্র বসু ও অন্যান্য ভারতীয় নেতা যোগদান করিলেন। সিঙ্গাপুরের ভারতীয়গণের মধ্যে এক বিরাট চাঞ্চল্য দেখা যাইতেছে এবং সভা আরম্ভের অনেক পুর্বে ই সভাস্থল সিঙ্গাপুরের ভারতীয় অধিবাসী এবং ভারতীয় সৈনিকে পূর্ণ হইয়া গেল। সুদূর ইন্দোচীন, হংকং, শ্যাম, জাভা, সুমাত্রা প্রভৃতি স্থানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৭৮ হাজার লোক হইয়াছিল। ঠিক ১০-৩০ টায় সভা আরম্ভ হইল।

 প্রথমে কর্ণেল চাটাজি বলিলেন। তারপর বিপুল জয়ধ্বনির মধ্যে