পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৬৫

জ্যোতিষ্মান থাকিয়া আমাদিগকে অকুণ্ঠিত আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতার প্রেরণা দিতেছেন।

 ইহার পর ব্রিটিশ সবলে ভারতবাসীদের নিরস্ত্র করিয়া দিল। ভারতের জনগণ কিছুকাল হতাশ ও হতবাক হইয়া পড়িয়াছিল। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে কংগ্রেসের জন্মের পর ভারতবাসীর অন্তরে নব জাগরণের বন্যা জাগিল। ১৮৮৫ হইতে প্রথম মহাযুদ্ধ পর্য্যন্ত ভারতবাসী তাহাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন, ব্রিটিশ পণ্য বর্জন প্রভৃতি এবং শেষে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ পর্য্যন্ত ধরিয়াছে। কিন্তু সকল প্রচেষ্টাই সাময়িক ভাবে ব্যর্থ হইয়া যায়। পরিশেষে ১৯২০ সালে ব্যর্থতার গ্লানিতে আচ্ছন্ন হইয়া ভারতবাসী যখন নূতন পথের সন্ধান করিতেছিল, তখন মহাত্মা গান্ধী অসহযোগিতা এবং আইন অমান্য আন্দোলনের নুতন অস্ত্র লইয়া ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণ হইলেন।

 ইহার পর বিশ বৎসর চলিয়া গেল। এই সময়ের মধ্যে ভারতবাসীগণ নানা প্রকার দেশপ্রেমমূলক কার্য্য করিয়াছে। মুক্তির অমোঘ বাণী ভারতের প্রতিগৃহে পৌঁছিল। দেশবাসী স্বাধীনতার জন্য নির্য্যাতন ও কারাবরণ করিতে শিখিল, আত্মত্যাগ করিতে শিখিল এবং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতে শিখিল। কেন্দ্র হইতে সুদূর পল্লী পর্য্যন্ত জনগণ একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সঙ্ঘবদ্ধ হইল। এইভাবে ভারত শুধু রাজনৈতিক চেতনাই লাভ করিল না, তাহারা একটি অখণ্ড রাজনৈতিক সত্তায় পরিণত হইল। ইহার পর তাহারা এক স্বরে কথা বলিতে পারিল এবং একই আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের জন্য এক মনে সংগ্রাম করিতে শিখিল। ১৯৩৭ হইতে ১৯৩৯ সাল পর্য্যন্ত আটটি প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা গঠন ও দক্ষতাপূর্ণ কার্য্যের দ্বারা প্রমাণ করিল মে, ভারতবাসী নিজেদের