পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

শাসন ব্যবস্থা নিজেদের হস্তে গ্রহণ করিবার ক্ষমতা অর্জ্জন করিয়াছে। এইরূপে বর্ত্তমান মহাযুদ্ধের প্রারম্ভে ভারতের মুক্তির শেষ সংগ্রামের ভূমি প্রস্তুত হইয়াছে।

 বর্ত্তমান যুদ্ধে জার্মাণী তাহার মিত্রদের সহায়তায় ইউরোপে আমাদের শত্রুদের উপর প্রচণ্ডভাবে আঘাত হানিয়াছে। এদিকে জাপানও পূর্ব এশিয়ায় আমাদের শত্রুর উপর প্রবল আঘাত করে। বিভিন্ন অবস্থার অনুকূল সমন্বয়ের ফলে ভারতের জনগণ জাতীয় মুক্তি অর্জ্জনের এক অভূতপূর্ব্ব সুযোগ লাভ করিয়াছে।

 ভারতের ইতিহাসে আর একটি নুতন ঘটনা এই যে, বিদেশে অবস্থিত ভারতীয়গণের মধ্যেও রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়াছে এবং তাঁহারাও একটি প্রতিষ্ঠানে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়াছেন। তাঁহারা শুধু স্বদেশবাসীর সহিত সমানভাবে চিন্তা করিতেছেন না, স্বাধীনতার পথে তাঁহারাও স্বদেশবাসীর সহিত একতালে চলিতে আরম্ভ করিয়াছেন। পূর্ব এশিয়ায় আজ ত্রিশ লক্ষের অধিক ভারতবাসী এক সুসংবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সম্মিলিত হইয়াছেন। তাঁহারা আজ পূর্ণ সমরায়োজনে অনুপ্রাণিত। তাঁহাদের সম্মুখে রহিয়াছে ভারতের আজাদ হিন্দ্ ফৌজ এবং তাঁহাদের মুখে কেবল একটিমাত্র কথা—‘দিল্লী চলো’।

 আজ ব্রিটিশ শাসক সম্প্রদায় ভারতবাসীর শুভেচ্ছা হইতে বঞ্চিত হইয়াছে। আজ তাহারা এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে নিমগ্ন হইয়াছে। এই অপ্রীতিকর শাসনের শেষ চিহ্ন বিলুপ্ত করিবার জন্য প্রয়োজন শুধু একটি মাত্র অগ্নিস্ফুলিঙ্গের। সেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করিবার ভার আজাদ হিন্দ্ ফৌজের উপর। স্বদেশের অসামরিক জনগণের ও ব্রিটিশ সরকার গঠিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহু লোকের