পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৭৫

২৭শে অক্টোবর ১৯৪৩:

 আজ সন্ধ্যায় সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে একটি সভা হইল। সত্যের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৪০।৫০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 ব্যানার্জি আমাকে সুভাষচন্দ্রের সহিত পরিচয় করাইয়া দিলেন।

 আজাদ হিন্দ্ বাহিনী লইয়া ভারতবর্ষ আক্রমণের ব্যবস্থা হইবে। ভারতবর্ষের বর্ত্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুভাষচন্দ্র জানিতে চাহেন। তিনি কলিকাতা ত্যাগ করেন ১৯৪১ সালের ২৬শে জানুয়ারি তারিখে; তাহার পর যে সংবাদ পাওয়া যায় তাহা খুবই সামান্য এবং সেন্সরের ফলে বিকৃত।

 ব্যানার্জি ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমেই কলিকাতা হইতে রেঙ্গুন ফিরিয়াছেন। তিনি বলিলেন—‘আমি যখন ছিলাম সেই সময় বাংলা দেশে নেতাজীর সমর্থক কংগ্রেস দল ও শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভা একত্রে এসেম্‌ব্লিতে কাজ করিতেছিলেন।’

 সুভাষচন্দ্র সম্বন্ধে মহাত্মাজী এবং কমিউনিষ্ট্ দলের মতামত সম্বন্ধে একজন জিজ্ঞাসা করিলেন।

 ব্যানাজি বলিলেন—“কমিউনিষ্ট্‌রা রাসবিহারী বাবু এবং নেতাজীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে।”

 ব্যানার্জি এইখানে একটি ঘটনার উল্লেখ করিলেন। তিনি ডিসেম্বর মাসে বার্মায় ফিরিবার জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন। কিন্তু বিশেষ সুপারিশ ভিন্ন জাহাজে বা এরোপ্লেনে স্থান লাভ অসম্ভব ছিল। এই সম্পর্কে একজন বন্ধু তাঁহাকে হিন্দু মহাসভার নেতা ডাক্তার সন্তোষকুমার মুখার্জির নিকট লইয়া যান। সেই সময় তাঁহার সহিত একজন কমিউনিষ্ট্ ছাত্র দেখা করিতে গিয়াছিল এবং নেতাজীকে বলিয়াছিল—কুইস্‌লিং।