পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 ইহার উত্তরে সন্তোষবাবু তাহাকে বলেন—“কুইস্‌লিং নিজের স্বাধীন মাতৃভূমিকে বিদেশীর হাতে তুলিয়া দিয়াছিল। আমরা স্বাধীন নই। সুতরাং কুইস্‌লিং-এর সহিত সুভাষচন্দ্রের তুলনা করা অন্যায়। সুভাষচন্দ্রের ন্যায় দেশপ্রেমিক বিরল। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগও যে একটি বড় অস্ত্র তাহা প্রমাণিত হইয়াছে। মহাত্মা, সুভাষচন্দ্র ও সাভারকর প্রভৃতি বিভিন্ন দিক হইতে চেষ্টা করিতেছেন। পথ ভিন্ন হইতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য একই—ভারতের মুক্তি।”

 ব্যানার্জি কলিকাতায় কমিউনিষ্ট্‌দের একদিনের সভার কৌতুকজনক বর্ণনা দিলেন। ইহাদের শ্লোগান্—‘জাপানকে রুখ্‌তে হবে’—‘রুশকা লড়াই, হামারা লড়াই’। তাহাদের একটি গানের কথাগুলি ব্যানার্জি বলিলেন:

‘কমরেড্, ধরো আজ হাতিয়ার!
দুনিয়ার জনগণ সাথে চল সবাকার।
কমরেড্, ধরো আজ হাতিয়ার।
যুদ্ধ—মুক্তি ও শৃঙ্খলে;
ফ্যাসিবাদ যাক্ আজ অতলে।
কমরেড্, হও আজ হুঁসিয়ার।’

[গানটি ব্যানার্জির নিকট হইতে সভার পরে লিখিয়া লইলাম। ইচ্ছা আই-এন-এর জন্য এই ধরণের একটি হিন্দী গান রচনা করিব।]

 কমিউনিষ্টরা পূর্ব্বে যুদ্ধে যোগদানের বিরুদ্ধে বলিত—‘এটা সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ’। রাশিয়া যুদ্ধে যোগদানের পরেই তাহাদের বুলির পরিবর্ত্তন হইয়াছে। এখন তাহারা বলিতেছে—‘এই যুদ্ধ ফ্যাসিষ্ট বনাম গণতন্ত্রের যুদ্ধ— পরাধীনতার বিপক্ষে স্বাধীনতার সংগ্রাম। সোভিয়েট্ রাশিয়া, চীন,