পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৭৭

বৃটেন ও আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে লড়িতে হইবে।’ জনসাধারণের ধারণা ইহারা সরকারী অর্থসাহায্য পায়।

 শরৎচন্দ্র বসুকে ১৯৪১ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে অন্তরীণ করা হইয়াছে।’

 ব্যানার্জির সংবাদ প্রায় এক বৎসরের পুরাতন।

 এই সময় জানা গেল, এক জন একমাস পূর্ব্বে ভারতবর্ষ হইতে ফিরিয়াছেন। জাপানীরা তাঁহাকে সব্‌মেরিণে করিয়া লইয়া গিয়াছিল।

 তাঁহার নিকট ১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট তারিখের কংগ্রেস কমিটির গৃহীত প্রস্তাবগুলি এবং মহাত্মা গান্ধীর ভারত ছাড় আন্দোলনের বর্ণনা শুনিলাম। তিনি দাবি করেন—বৃটিশকে ভারতের সকল ক্ষমতা ভারতবাসীর হাতে ছাড়িয়া দিতে হইবে এবং কেবল ভারতরক্ষা ও যুদ্ধ পরিচালনার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেইরূপ ক্ষমতা তাহারা রাখিতে পারিবেন। তারপর ১৯৪২ সালের আগষ্ট মাসে বোম্বাইয়ে কংগ্রেস কমিটি অধিবেশনের পর মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য সকল কংগ্রেস নেতাকে গ্রেপ্তার করা হইল। কিন্তু “ভারত ছাড়” এই বাণী দেশের মধ্যে ছড়াইয়া পড়িল। তাহার পর যাহা হইল, তাহা ভারতবর্ষের ইতিহাসে অভূতপূর্ব্ব। স্বতঃস্ফূর্তরূপে এক আন্দোলন সমগ্র দেশের উপর দিয়া ঝড়ের মত বহিয়া গেল। গভর্ণমেণ্ট এক বিরাট গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হইল। মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ স্থান এবং বিহার ও যুক্ত প্রদেশের অনেক স্থানে সাময়িকভাবে বৃটিশ শাসন বিলুপ্ত হইয়াছিল। নেতৃত্ববিহীন সেই জন-আন্দোলন সংগঠনের অভাবে সাফল্য লাভ করিতে পারে নাই। বাংলার দুর্ভিক্ষে অসংখ্য লোক মরিতেছে। বৃটিশ শাসনের