পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

বিরুদ্ধে জন মত প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। নেতাজীর বেতার বক্তৃতা ভারতে সকলেই আগ্রহের সহিত শুনিয়া থাকে।

 তিনি বলিলেন যে তাঁহাকে খুব সাবধানে চলিতে হইয়াছিল, এজন্য কোন বিশিষ্ট লোকের সহিত সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয় নাই।

৭ই নভেম্বর ১৯৪৩:

 আজ টোকিওতে বৃহত্তর পূর্ব এশিয়ার জাতিসঙ্ঘের অধিবেশন হইতেছে টোকিওতে। এই সুযোেগ টোকিও বেড়ানো হইবে ভাবিয়াছিলাম; কিন্তু তাহা আর হইল না। মধু অভাবে গুড়েই সন্তুষ্ট থাকিতে হইল—রেডিওতে জাপানের প্রধান মন্ত্রী জেনারেল তোজোর বক্তৃতা শোনা গেল। তিনি বলিলেন:

 ‘অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং ভারতের দেশপ্রেমিকগণ তাঁহাদের উদ্দেশ্য সাধনে দৃঢ়সঙ্কল্প; সুতরাং আমি এই সুযোগে ঘোষণা করিতেছি যে জাপ গভর্ণমেণ্ট জাপ বাহিনীর অধিকৃত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ শীঘ্রই আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্টের হস্তে সমর্পণ করিতে প্রস্তুত আছেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাপান যে সহায়তা করতে উদ্‌গ্রীব ইহা তাহার প্রথম প্রমাণ। ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধে জাপান সর্ব্বতোভাবে সহযগিতা করিতে প্রস্তুত; জাপান চাহে যে ভারতীয়েরাও এই কার্য্য সাধনের জন্য তাহাদের চেষ্টা দ্বিগুণ করিবে।’

 রেডিও শুনিতেছি; এমন সময় জানকী দেবী আসিয়া উপস্থিত। আজ আর মিলিটারি সাজ নয়। চাঁপা রঙের শাড়ী স্কার্টের মতন করিয়া পরা—ফিকে নীল রঙের ব্লাউজ। কাপড়ের রঙের সঙ্গে গায়ের রঙ্ মিলিয়া গিয়াছে।