পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৮৫

তাহাদের ট্যাক্স দিতেছেন আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্টকে—জাপানীদের নয়!

 ইংরেজ যখন জাপানীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে, তখন দেশের মধ্যে এক ভীষণ বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইয়াছিল। লুণ্ঠন, অত্যাচার ও নরহত্যা অবাধে চলিয়াছিল—রক্ষা করিবার কেহ ছিল না। সেই সময় ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘ ভারতবাসীদের রক্ষার জন্য অগ্রসর হইয়াছিল। তারপর নেতাজী যেদিন আসিলেন, সেদিন হইতে আমাদের মর্য্যাদা স্বাধীন দেশের প্রজার ন্যায়।

 যুদ্ধের ফলে অনেক ভারতবাসী শ্রমিকের অবস্থা শোচনীয় হইয়াছিল। ভারতীয়দের মধ্যে ভিখারীর সংখ্যা অত্যন্ত বাড়িয়াছিল। ভিক্ষাও মিলিত না—অনেক লোক অনাহারে মারা গিয়াছিল। আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্ট হইতে ইহাদের সাহায্যের ব্যবস্থা হইয়াছে। সিঙ্গাপুর ও কুয়ালা-লামপুরে খুব বড় সাহায্যকেন্দ্র খোলা হইয়াছে।

 এখানে প্রত্যহ সহস্রাধিক নরনারীকে সাহায্য দেওয়া হয়। খাদ্য ছাড়া প্রয়োজন মত ঔষধ ও পথ্যও দিবার ব্যবস্থা আছে।

 বেকার ও দুর্দ্দশাগ্রস্ত ভারতীয়গণ যাহাতে চাষ করিয়া অন্নসংস্থান করিতে পারে, এই উদ্দেশ্যে মালয়ে অনেকটা জায়গা লওয়া হইতেছে।

 প্রবাসী ভারতীয়গণের পুত্রকন্যাগণের শিক্ষার যে ব্যবস্থা বৃটিশ আমলে ছিল, তাহা আর নাই। আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্ট স্থানে স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপন করিতেছেন।

 প্রজাদের উন্নতি ও মঙ্গল বিধানই রাষ্ট্রের কর্ত্তব্য; আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্ট সেই কর্ত্তব্য পালন করিতেছেন।