২৪শে ডিসেম্বর ১৯৪৩:
টোকিও মিলিটারী একাডেমিতে শিক্ষার জন্য দরখাস্ত করিয়াছিলাম। আজ সংবাদ লইয়া জানিলাম, ৪৫খানি আবেদন আসিয়াছে; ইহাদের মধ্যে মাদ্রাজী ২২ জন, বাঙালী ১১ জন, পাঞ্জাবী ৭ জন, বোম্বাই প্রদেশের অধিবাসী ৪ জন এবং সিংহলী ১ জন। নির্বাচন এখনো হয় নাই। প্রথম দল আগামী বৎসর মার্চ মাসে টোকিও যাইবে। সেখানে জাপানী ভাষায় অধ্যাপনা হইবে। সুতরাং এই ভাষা শিখিতে হইবে। এইজন্য টোকিও গমনের অভিপ্রায় পরিত্যাগ করিতে হইল।
২৬ শে ডিসেম্বর ১৯৪৩:
শীঘ্রই ভারত আক্রমণ আরম্ভ হইবে; তাহার তোড়জোড় চলিতেছে। আমাদের প্রধান অফিস রেঙ্গুনে স্থানান্তরিত হইবে।
আজাদ হিন্দ্ ফৌজ সংগঠিত হইয়াছে। এই সেনাদল প্রধানত ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে সব সৈন্য ধরা পড়িয়াছে তাহাদের লইয়া গঠিত। অসামরিক লোকদের লইয়াও একটি বৃগেড তৈয়ারী হইয়াছে। প্রায় ৬০।৭০ হাজার সৈন্য সংগৃহীত হইয়াছে। ইহার মধ্যে প্রায় অর্দ্ধেক বেসামরিক অধিবাসী। প্রথমে যখন ফৌজ গঠিত হয় এই কয়টি বিভাগ ছিল।
(১) হিন্দুস্থান ফিল্ড দল:
এই দলে ছিল ১,২ ও ৩ নং পদাতিক বাহিনী, আই-এ-এফ্-সি বাহিনী, ভারী কামান বাহিনী, ১নং ইঞ্জিনিয়ার বাহিনী, ১নং সাঙ্কেতিক সাংবাদিক (সিগ্ন্যালার) দল, ১নং চিকিৎসক বাহিনী এবং ১নং টি-পি-টী বাহিনী।
(২) শার্দুল গেরিলা বাহিনী:
এই বাহিনীতে আছে গান্ধী রেজিমেণ্ট, নেহরু রেজিমেণ্ট ও আজাদ গেরিলা রেজিমেণ্ট।