পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৯৭

 এডভোকেট জেনারেলের দ্বিতীয়বার জেরার উত্তরে সাক্ষী বলেন যে, তাঁহার সাক্ষ্যে উল্লিখিত দুইটি বিবৃতি অভিযুক্ত অফিসারত্রয়ের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে গৃহীত হইয়াছিল। আদালতের প্রশ্নের উত্তরেও সাক্ষী ঐ কথার পুনরুক্তি করেন।

সুবেদার রামস্বরূপের সাক্ষ্য

 সরকার পক্ষের পরবর্তী সাক্ষী সুবেদার রামস্বরূপ নামক জনৈক সামরিক কেরাণী বলেন যে, সিঙ্গাপুরের পতনের পূর্ব দিন তিনি পলায়নের জন্য দল ত্যাগ করেন এবং বেসামরিক পোষাক পরিয়া বেসামরিক লোকদের সহিত মিশিয়া যান। ১৯৪২ সালের ১৩ই এপ্রিল পর্য্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এমন সময় তাঁহার জনৈক কেরাণী-বন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষী অসুস্থ ছিলেন। বন্ধুটি সাক্ষীকে সেলেটার শিবিরে যাইতে বলে। ঐখানে তখন তাহার দলের অন্যান্য লোক ছিল।

 সেলেটারে সাক্ষীকে এক শিবিরে রাখা হয়। যাহারা আজাদ হিন্দ ফৌজে স্বেচ্ছাসেবক হয় নাই, তাহাদিগকে ঐ সকল শিবিরে রাখা হইত। আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিতে বলিয়া ঐ সকল শিবিরে কয়েকবার বক্তৃতা দেওয়া হয়; কিন্তু সাক্ষী যোগ দেন নাই।

 ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে সাক্ষী ও অন্যান্য পাঁচ জনকে এক আটক শিবিরে লইয়া যাওয়া হয়। তাহাকে বলা হয় যে, আজাদ হিন্দ ফৌজ বিরোধী প্রচার কার্য্যের অপরাধে তাহাকে তথায় লইয়া যাওয়া হইয়াছে। সাক্ষী অতঃপর নির্য্যাতন কাহিনী বর্ণনা করিয়া বলেন, জনৈক অফিসারের উত্তরে তিনি বলেন যে তিনি আরও নির্য্যাতন ভোগ করিতে প্রস্তুত আছেন কিন্তু তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিবেন না।