পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১০৭

এই ধ্বনি করিয়া সুভাষচন্দ্র তাহার বক্তৃতা শেষ করেন। ২য় পদাতিক বাহিনীর দুই হাজার তিন শত সৈন্য ও উপস্থিত দর্শকবৃন্দও ঐ ধ্বনিগুলি পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ করে।

 মার্চ্চের তৃতীয় সপ্তাহে পোপাতে এই বাহিনী উপস্থিত হয়; এই স্থানেই কর্ণেল শাহ নওয়াজের সদর কার্য্যালয় ছিল।

 সাক্ষী বলে, তাহাদের সৈন্যদল বিভিন্ন অঞ্চলে টহলদারী কার্য্যে নিযুক্ত ছিল। সাক্ষী রেজিমেণ্টাল কমাণ্ডার লেফন্যাণ্ট কর্ণেল সেহগলের একজন ষ্টাফ অফিসার ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৪ঠা মার্চ্চ তারিখে প্রথম ব্যাটালিয়ানের এক রিপোর্টে জানা যায় যে, আবদুল্লার খানের নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ানের একদল টহলদারী বৃটিশ সৈন্যের সহিত সংঘর্ষ হয়। ঐ সংবাদে জানা যায় যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের টহলদারী সৈন্যগণ দুইখানি জিপ গাড়ী এবং একটি বেতারযন্ত্র হস্তগত করিয়াছে। একখানি জিপ বিভাগীয় হেডকোয়ার্টারে প্রেরণ করা হয় এবং একখানি রেজিমেণ্টাল হেডকোয়ার্টারে রাখা হয়। লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল সেহগল এবং তাঁহার ষ্টাফ অফিসারগণ উহা ব্যবহার করিতেন। ১৪ই মার্চ তারিখে লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল সেহগল পিনবিন আক্রমণের জন্য দুইদল সৈন্য প্রেরণ করেন। সাক্ষী এবং দুইজন চিকিৎসক, লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল সেহগলের সহিত গমন করেন। সৈন্যদল যাত্রা করিবার পূর্ব্বে ডিভিসন কমাণ্ডার কর্ণেল শাহ নওয়াজ বিদায় জানাইতে আসেন। কর্ণেল শাহ নওয়াজ বলেন, ‘দুই নম্বর রেজিমেণ্টের উপর সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ হইয়া আছে। ঐ রেজিমেণ্টের দুইদল সৈন্য এই প্রথম রণাঙ্গনে যাইতেছে। গত বৎসরের যুদ্ধে আমার এই অভিজ্ঞতা জন্মিয়াছে যে, শত্রু অত্যন্ত কাপুরুষ। আমি আশা করি যে আপনারা কোন প্রকারেই ভারতের নাম কলঙ্কিত করিবেন না। আমি আপনাদের জন্য প্রার্থনা করিতেছি।”

 সৈন্যদল দুইটি ১৬ই মার্চ নিয়েনে উপনীত হয়। সেখান হইতে একটি