পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

আরম্ভ হয়। কর্ণেল কিটসন বলেন, ক্যাপ্টেন সেহগল কেন জাতীয় বাহিনীতে যোগ দেন, তাঁহাকে এই কথা জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বিগত দুই বৎসরের যুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করেন এবং বলেন যে জাতীয় বাহিনীর সহিত জাপানীদের বনিবনাও হইতেছিল না।

ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের বিবৃতি

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ আদালতে একটি বিবৃতিদান প্রসঙ্গে বলেন যে, তিনি এমন কোন অপরাধ করেন নাই, যাহাতে সামরিক আদালত বা অপর কোন আদালতে তাহার বিচার হইতে পারে। তিনি বলেন—“আমি যে যুদ্ধে যোগ দিয়াছি তাহা অস্বীকার করিতেছি না। কিন্তু স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের সৈনিক হিসাবেই আমি উহা করিয়াছি। এই অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট সভ্য জগতের যুদ্ধের নিয়মাবলী অনুসারে মাতৃভূমির উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং বৃটিশ বাহিনী এই গভর্ণমেণ্টকে যুদ্ধরত গভর্ণমেণ্ট বলিয়া স্বীকার করিয়া লইয়াছিল।”

 হত্যার প্ররোচনা দানের অভিযোগের কথা উল্লেখ করিয়া ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ বলেন যে, তিনি মহম্মদ হোসেনের মৃত্যু ঘটান নাই। তিনি বলেন—“যখন আমি জাতীয় বাহিনীতে যোগ দেই তখন আমি আমার সর্ব্বস্ব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমি স্থির করি যে, আমার ভাইও যদি আমার বিরুদ্ধে যায় তাহা হইলে আমি তাহার বিরুদ্ধেও সংগ্রাম চালাইব। আমি আমার নেতাজীকে এই প্রতিশ্রুতি দান করি যে আমি আমার মাতৃভূমির জন্য সর্ব্বস্ব ত্যাগ করিব। কর্ত্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনিয়াছেন সেগুলি সত্য হইলেও আমাকে অপরাধী বলিয়া সাব্যস্ত করা চলে না। মহম্মদ হোসেন স্বেচ্ছায় জাতীয় বাহিনীতে যোগ