পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ

ভালবাসিতেন। তিনি বৃন্দাবনে যমুনার তীরে কেলীঘাট নামক স্থানে এক বিরাট প্রাসাদ নির্মাণ করেন। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ পিতার সহিত এই বৃন্দাবনেই খেলা করিতেন, বেড়াইতেন, যমুনার নীল জলে সাঁতার কাটিতেন। পরবর্তী জীবনে তিনি ভাল সাঁতার কাটিতে পারিতেন বলিয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। উপযুক্ত গৃহশিক্ষকদের উপর তাঁহার বিদ্যাশিক্ষার ভার পড়ে। বাড়ীতে যখন পড়িতেন, তখন তিনি বীরপুরুষদের সম্বন্ধেই বেশী করিয়া পড়িতেন। খেলাধুলার মধ্যেও তাঁহার বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁহার খেলার সাথী ছিল অনেক। তিনি ছিলেন তাহাদের নায়ক। শৈশবে খেলার ছলে তিনি সাজিতেন নেপোলিয়ান আর সবাই সৈন্য সাজিয়া তাঁহার হুকুম তামিল করিত। হুকুম চালাইবার এবং সেই হুকুমকে কার্য্যে পরিণত করিবার অসাধারণ ক্ষমতা তিনি বাল্যকালেই লাভ করিয়াছিলেন।

 মহেন্দ্র প্রতাপের বয়স যখন সাড়ে নয় বৎসর তখন তাঁহার পিতার মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত রাজ্য এবং তাঁহার ভার কোর্ট অব ওয়ার্ডসের হাতে চলিয়া যায়। তিনি হাইস্কুলে পড়িতে আরম্ভ করেন এবং ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। পরে আলিগড় কলেজ হইতে এফ, এ, পাশ করিয়া তিনি বি, এ, শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই সময় কলেজের ইংরাজ প্রিন্সিপ্যালের কোন অন্যায় কার্য্যের জন্য কলেজের সমস্ত ছেলেরা ধর্মঘট করে, তাহাদের মধ্যে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপও ছিলেন। তিনি ছিলেন ইহাদের অন্যতম নায়ক। কলেজের ধর্মঘটের অবসান হইল। কিন্তু মহেন্দ্র প্রতাপ আর কলেজে গেলেন না। কলেজের পড়া সেই হইতেই শেষ হইল।

বিবাহ ও ইউরোপ ভ্রমণ

 রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের বয়স যখন সবেমাত্র ষোল বৎসর, তখন প্রসিদ্ধ ঝিন্ধ রাজ্যের তৎকালীন রাজার ছোট ভগ্নীর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। বিবাহের