পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১২৯

উপর অর্পণ করা সম্পর্কে শ্রীযুত দেশাই জিজ্ঞাসা করেন যে, এই সম্পর্কিত নির্দেশ দ্বীপস্থ নৌদপ্তরে জানান হয় কিনা। সাক্ষী বলেন যে, এইরূপ নির্দেশ নিশ্চয়ই দেওয়া হইয়াছিল।

 এডভোকেট জেনারেলের জেরার উত্তরে মিঃ মাৎসুমতো বলেন যে, কর্তব্য সম্পাদনকালে ইণ্ডিয়া লীগের কোন ব্যাপারে তিনি লিপ্ত ছিলেন না। রাসবিহারী বসুর সহিত তাঁহার কখনও দেখা হয় নাই।

 প্রঃ—যুদ্ধের পূর্বে জাপ গভর্ণমেণ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের কর্মতৎপরতাকে উৎসাহিত করিয়াছেন বলিয়া আপনি কিছু বলিতে পারেন কি?

 উঃ—আমি উহার কিছুই জানি না।

 প্রঃ—আপনাকে বলিতেছি যে, ভারতে গোলযোগ সৃষ্টি করা ও এই সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়া যুদ্ধের বহু পূর্ব হইতেই জাপ গবর্ণমেণ্টের নীতির বিশেষ অঙ্গ ছিল।

 উঃ—এই জাতীয় নীতির কথা আমি কিছুই জানি না।

 প্রঃ—রাসবিহারী বসু জাপানে ছিলেন, একথা কি আপনি জানিতেন?

 উঃ—হাঁ।

 সাক্ষী বলেন যে, ১৯৪৩ সালের অক্টোবর বা নবেম্বরে অস্থায়ী আজাদ গভর্ণমেণ্টকে স্বীকার করিয়া নেওয়ার বিষয় জাপ গভর্ণমেণ্ট প্রথম বিবেচনা করেন।

 প্রঃ—আপনাকে বলিতেছি যে, ১৯৪২ সালের মার্চ হইতেই ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের সদস্যরা অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্টকে মানিয়া লওয়ার জন্য জাপ গভর্ণমেণ্টের নিকট অনুরোধ জানান?

 উঃ—আমি উক্ত বিষয়ে কিছু অবগত নহি।

 সাক্ষী বলেন যে, শ্রীযুত সুভাষ বসুর সহিত তাঁহার পরিচয় ছিল; ১৯৪৩