প্রঃ—সে সময়ে কোন যুদ্ধ চলিতেছিল কি?
উঃ—আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার রিপোর্ট আমি চাহিয়াছিলাম।
অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে, শাহ নওয়াজ খানের রেজিমেণ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য্যে নিযুক্ত ছিল। ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য শাহ নওয়াজ ও তাহার রেজিমেণ্টকে শ্রীযুক্ত বসু অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
আজাদ-হিন্দ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীর সাক্ষ্য
১১ই ডিসেম্বর সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ সরকারের দুইজন ভূতপূর্ব্ব মন্ত্রীর মিঃ এস, এ, আয়ার ও লেঃ কঃ লোগনাথনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মিঃ আয়ার তাঁহার সাক্ষ্যে বলেন যে, বাঙ্গলার দুর্ভিক্ষের সময় আজাদ হিন্দ সরকার বাঙ্গলায় একলক্ষ টন চাউল পাঠাইতে চাহিয়াছিলেন। বৃটিশ সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নাই।
মিঃ আয়ার অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকারের প্রচার সচিব ছিলেন।
মিঃ আয়ার বলেন যে, ১৯৪১ সালে যখন জাপানীরা যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন তিনি ব্যাঙ্ককে ছিলেন। ১০ই ডিসেম্বর তিনি ব্যাঙ্কক ত্যাগ করেন এবং বার্ম্মার ভিতর দিয়া ভারতে আসিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি অসমর্থ হন।
১৯৪২ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি থাইল্যাণ্ড, বার্ম্মা, মালয়, সিঙ্গাপুর, ইন্দোচীন, জাভা, সুমাত্রা, ফিলিপাইন, সাংহাই ও জাপান প্রভৃতি স্থানের ভারতীয়বৃন্দ ব্যাঙ্ককে একটি সম্মেলনে সমবেত হয়। এই সমস্ত দেশে ভারতীয়দের সংখ্যা হইবে ২৬ হইতে ৩০ লক্ষ। সাক্ষীও দর্শক হিসাবে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪২ সালের জুলাই মাসে প্রাচ্য এসিয়ার ব্যাঙ্ককস্থ ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের কেন্দ্রীয় অফিসে তিনি যোগদান করেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভই