পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৫৩

উক্ত দ্বীপের ভার গ্রহণ করেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র সাক্ষীকে ইহার চীফ ক্রমিশনার নিযুক্ত করেন।

 ১৯৪৪ সাল পর্য্যন্ত সাক্ষী আন্দামান শাসন করেন। পরে তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়া তাহার শাসন সম্পর্কে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নিকটে এক বিবরণ দেন। প্রথমে নেতাজী তাহাকে উক্ত বিবরণ সহ টোকিও যাইতে বলেন। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় উক্ত আদেশ পালন করিতে পারেন নাই। নেতাজী টোকিও হইতে ফিরিয়া আসিলে সাক্ষী তাহাকে উক্ত দ্বীপের শাসন সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ প্রদান করেন।

 সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে মেজর অলভি চীফ কমিশনারের কার্য্য করেন। সাক্ষীর শাসনকালে উক্ত দুইটি দ্বীপের নাম রাখা হয় শহীদ (আন্দামান) ও স্বরাজ (নিকোবর)।

 সরকার পক্ষের কৌঁসুলী স্যার এন. পি, ইঞ্জিনিয়ারের এক জেরার উত্তরে সাক্ষী জাপান কর্ত্তৃক স্বাধীন ভারতীয় অস্থায়ী সরকারের নিকট আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছাড়িয়া দেওয়া সম্পর্কে টোকিও বেতার হইতে যে ঘোষণা করা হইয়াছিল তাহা সমর্থন করেন। সাক্ষী উক্ত বেতার ঘোষণার সঠিক বাক্যাবলী স্মরণ করিতে অসমর্থ হন।

 প্রশ্ন—আপনাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি যে, জাপানীরা কখনও স্বাধীন ভারতীয় অস্থায়ী সরকারের নিকট আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছাড়িয়া দিয়াছিল?

 উত্তর—জাপানীরা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছাড়িয়া না দিলে আমি সেখানে যাইতাম না।

 প্রঃ।—ছাড়িয়া দেওয়ার সময়ে এইরূপ সর্ত্ত মানিয়া লওয়া হইয়াছিল কি যে যুদ্ধাবসানে সেইগুলি পুনর্ব্বার জাপানীদিগকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে।

 উঃ—না।