পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৫৭

যে, স্থানীয় জরুরী অবস্থার সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া সাক্ষী যেন ধীরে সমস্ত দ্বীপের কর্ত্তৃত্বভার গ্রহণ করেন।

 আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের চীফ কমিশনার হিসাবে সাক্ষী সুভাষচন্দ্রের নিকট কতকগুলি মাসিক রিপোর্ট প্রেরণ করিয়াছিলেন।

 সাক্ষী অতঃপর প্রেরিত রিপোর্টগুলি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এডভোকেট জেনারেলও এই সম্পর্কে সাক্ষীকে কয়েকটি প্রশ্ন করেন।

 সাক্ষী অতঃপর শিক্ষা ও স্বয়ং সম্পূর্ণতা সম্বন্ধে বিস্তৃত ব্যাখা করেন। সাক্ষী আরও বলেন জাপানীদের নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে তিনি অসামরিক চীফ জষ্টিস মহম্মদ ইকবালের নিকট হইতে সংবাদাদি পাইয়াছিলেন।

 ১২ই ডিসেম্বর— সামরিক আদালতের অধিবেশনে স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকারের অধীনে নিযুক্ত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের চীফ কমিশনার কর্ণেল লোগনাধনের আরও জেরা চলিতে থাকে।

 কর্ণেল লোগনাধন বলেন যে, তাঁহার শাসনকালে লেঃ মহম্মদ ইকবাল আন্দামানে বেসামরিক মামলার বিচার করিতেন। তিনি প্রায়ই টাকা পয়সা ঋণ, ঘরবাড়ী বন্ধক এবং সামাজিক সম্পর্ক সংযুক্ত পারিবারিক কলহ বিবাদ প্রভৃতি সংক্রান্ত ছোট ছোট মামলার বিচারই করিতেন। এসম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ সাক্ষীর স্মরণ নাই, কারণ মামলার সংখ্যা প্রচুর ছিল। সাক্ষী যে সময়ে আন্দামানে যান, সে সময়ে জাপানীদের একটি সরবরাহ বিভাগ ছিল। সাক্ষী সেখানে পৌঁছিবার পরও ইহার কার্য্য চলিতে থাকে। সাক্ষী গতকল্য যে স্বয়ং সম্পূর্ণতামূলক কার্য্যসূচীর কথা উল্লেখ কলিয়াছিলেন জাপানীদের উক্ত সরবরাহ বিভাগের পরামর্শ অনুসারেই তাহা ব্যবস্থাপিত হয়। সাক্ষীকে অতঃপর তাঁহার সাক্ষরিত ১৯৪৪ সালের আগষ্ট সাসের বিবরণী দেখান হয়।

 প্রশ্ন—বিবরণীতে আপনি উল্লেখ করিয়াছেন, “ফলে অধিকতর বিশ্বাস