পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

গ্রেপ্তার করিবার আদেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি তিনি মুক্তিলাভ করিয়াছেন। তাঁহাকে ভারতে ফিরাইয়া আনার প্রচেষ্টা হইতেছে।

 দীর্ঘ এবং শীর্ণকায় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের মুখমণ্ডল গুম্ফ এবং শ্মশ্রুমণ্ডিত। তিনি চশমা পরিয়া থাকেন। বর্ত্তমানে তাঁহার বয়স ৬০ বৎসর হইবে।

কর্ণেল জগন্নাথ রাও ভোঁসলে

 যে বংশে ইতিহাস বিখ্যাত মহারাষ্ট্রনায়ক বীরশ্রেষ্ঠ শিবাজী জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, কর্ণেল জগন্নাথরাও সেই গৌরবদীপ্ত ভোঁসলে কুলোদ্ভব। মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে ‘শান্তবাদীর’র নিকটবর্তী তিরোদ গ্রামে তিনি ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

 ‘শান্তবাদী’তে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের পর জগন্নাথরাও দেরাদুনের প্রিন্স অফ ওয়েলস সামরিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দেরাদুনের শিক্ষা সমাপনান্তে তিনি ১৯২৭ সালে ইংলণ্ডের ‘স্যাণ্ডহার্ষ্ট’ সামরিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সর্ববিষয়ে পারদর্শিতার জন্য তিনি সকলেরই প্রশংসা ভাজন হন। ১৯২৮ সালে ভোঁস্‌লেজী কোয়েটাতে অবস্থিত ল্যাঙ্কাশায়ার’ রেজিমেণ্টে যোগদান করেন। এক বৎসর পর তাঁহাকে রাজকীয় মারহাট্টা পদাতিক দলে বদলি করা হয়।

 ১৯৩০ সালে জগন্নাথরাও লেফটেন্যাণ্ট এডজাটাণ্টের পদে উন্নীত হন এবং কনৌরে অবস্থান করিতে থাকেন। এইখানেই তিনি সমুদ্রে নিমগ্নপ্রায় দুইটি উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ কর্মচারীকে মৃত্যুর কবল হইতে রক্ষা করেন। তাঁহার এই বীরত্বের জন্য তিনি অকুণ্ঠ প্রশংসার অধিকারী হন এবং সম্রাট তাঁহাকে একটি পদকে ভূষিত করেন।

 ১৯৩৪ সালে ভোঁস্‌লে কাপ্টেন হন এবং সম্রাটের মুকুটোৎসবে যোগদানের দুষ্প্রাপ্য সুযোগ পান। ইংলণ্ড হইতে প্রত্যাবর্তন করিবার পর তিনি সৈন্যাপত্য শিক্ষাকার্য্যের জন্য নির্বাচিত হন। এই স্থলে উল্লেখযোগ্য যে,