পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

তাঁবেদার ছিল না। ইহা সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল এবং অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্র কর্ত্তৃক স্বীকৃত হইয়াছিল। এই সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ রহিয়াছে। দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পরস্পর যুদ্ধ ঘোষণার অধিকার রহিয়াছে। সুতরাং যুদ্ধাবসানে পরস্পর রাষ্ট্র কর্ত্তৃক যুদ্ধের সৈনিকদিগকে অভিযুক্ত করা আন্তর্জাতিক আইনানুসারে অসঙ্গত। অতঃপর ভুলাভাই দেশাই বলেন যে, আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের সেনাবাহিনী বেশ সুসংবদ্ধ ও সুগঠিত ছিল। এই সম্পর্কে প্রত্যক্ষ দলিলপত্রাদিও রহিয়াছে। কাজেই ইহাদের যুদ্ধ করিবার অধিকার সম্পর্কে কোনরূপ প্রশ্নই উঠে না। ইহা ব্যতীত এই অফিসারত্রয়ের কতকগুলি সামান্য অপরাধ সম্পর্কে এডভোকেটজেনারেল যে যুক্তির উল্লেখ করিয়াছেন, ভারতরক্ষা আইনানুসারে তাহাও বাতিল হইয়া যায়।

 সবদিক বিবেচনা করিলে দেখা যাইবে যে, আমাদের যুদ্ধকালীন ভারতীয় আইন পরিষদ দৈহিক শাস্তি প্রদানের পক্ষপাতী। অতএব আমি এই বলিতে চাই যে, ভারতীয় সামরিক আইনাবলী যে উদ্দেশ্যে রচিত যথাযোগ্যভাবে সুগঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের আইনাবলীও তদুদ্দেশ্যেই রচিত। অতএব আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য রচিত আইন সমূহের সমালোচনা ভারতীয় সামরিক আইনাবলীর সমালোচনার সমতুল্য বলিয়া আমি এই বলিতে চাই যে, বর্ত্তমান মামলায় সরকারের তেমন উদ্দেশ্যে নহে।

 এইবার যে বিষয়টি নিঃসন্দেহরূপে প্রতিষ্ঠীত করিতে চাই তাহা হইতেছে অস্থায়ী সরকারের যুদ্ধ ঘোষণ করিবার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে স্বাধীন করা। যে দ্বিবিধ উদ্দেশ্য লইয়া উক্ত সরকার গঠন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়াছে তাহার প্রথমটী ভারতবর্ষকে স্বাধীন করা। দ্বিতীয়টী— তৎকালে পূর্ব্ব এসিয়ার অবস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রাণ, মান ও সম্পত্তি সংরক্ষণ করা।

 আমার পরবর্ত্তী প্রামাণ্য বিষয় হইতেছে যে, (১) জাপ সরকারই নব-